• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শীতে বৃষ্টি হলে যেসব রোগ বাড়ে

প্রকাশ:  ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

এখন মাঘ মাস। শীতের দাপটের সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর তাতে ঠাণ্ডা বেড়ে গেছে বহুগুণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপও। এ অবস্থায় সতর্কতা জরুরি। এমনটাই বলছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, “শীতে বৃষ্টি হলে ঠাণ্ডা বেড়ে যায়। এ সময় শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলোর প্রকোপ বেশি হয়।”

তার মতে, “সর্দিকাশি; ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, সিওপিডি ইত্যাদি রোগগুলো এই শীতে খুব ভোগায়। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়া বেশি ঠাণ্ডায় বয়স্কদের বাতের ব্যথা বেড়ে যায়।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, “ছোটদের এই সময় জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা হতে পারে। ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া-এসব সমস্যাও বেড়ে যায়। বড়দের ক্ষেত্রে হাঁপানি, সিওপিডি ইত্যাদি রোগ বাড়তে পারে। এ ছাড়া শরীরে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে।”

বেশি শীতে মানসিক রোগও বেড়ে যেতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এই সমস্যাকে শীতকালীন বিষণ্ণতা বা উইন্টার ব্লুজ বলা হয়।

মনোবিজ্ঞানী ফারজানা ফাতেমার মতে, “উইন্টার ব্লুজে আক্রান্ত হলে অকারণেই মন খারাপ, উদ্বিগ্ন ও ক্লান্ত লাগতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে, মন খারাপ হওয়া মানেই কিন্তু বিষণ্নতা নয়।”

তিনি জানান, এটি পুরুষদের তুলনায় নারীদের মাঝে বেশি দেখা যায়। এছাড়া বয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অল্প বয়সীদের মাঝে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটা এক ধরনের সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি)। যা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এতে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের উপসর্গগুলো শরৎকালে শুরু হয় এবং শীতের মাসগুলোতে চলতে থাকে।

শীতকালীন বিষণ্ণতা বা উইন্টার ব্লুজে আক্রান্ত হলে কোনো কাজে আনন্দ না পাওয়া, ঘরে বাইরে কোনো কিছু উপভোগ করতে না পারা, খেতে-ঘুমাতে ভালো না লাগা, শরীরের শক্তি হ্রাস, বদমেজাজি হয়ে উঠা, সামাজিক দূরত্ব, পড়াশোনা বা কাজে মনোসংযোগের ঘাটতি, মাদকাসক্তি, উগ্রতা, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে না থাকা, আত্মঘাতী চিন্তাসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

হার্টের সমস্যা থাকলে বুকে ব্যথা বাড়তে পারে জানিয়ে হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, "হার্টের নিজের রক্ত দরকার। বেশি শীতে হার্টের রক্তনালি সংকুচিত হয়ে যায়। তখন হার্টে রক্তের অভাব দেখা দেয়। এতে বুকে ব্যথা হয়। যাকে আমরা এনজাইনা বলি। এ ছাড়া এ সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।"

অধ্যাপক ডা.এ বি এম আব্দুল্লাহ প্রতিরোধের উপায়গুলো সম্পর্কে বলছিলেন, “বাইরে গেলে মাথা,কান ভালোভাবে ঢাকতে হবে। ঠান্ডা রোধে মধু, আদা্, এলাচ দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, “শীত থেকে রক্ষা পেতে একটি মোটা পোশাক না পরে, দু্ই তিনটি কাপড় পরতে হবে। মাফলার ব্যবহার করতে হবে। আর যাদের অ্যাজমা, ঠান্ডা-কাশি ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে, তাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। অ্যাজমা রোগীরা যেসব ওষুধ নিয়মিত খাচ্ছেন, সেগুলো যেন বন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শীত প্রতিরোধে ঘরে রুম হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে।”

এখন মাঘ মাস। শীতের দাপটের সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর তাতে ঠাণ্ডা বেড়ে গেছে বহুগুণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপও। এ অবস্থায় সতর্কতা জরুরি। এমনটাই বলছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, “শীতে বৃষ্টি হলে ঠাণ্ডা বেড়ে যায়। এ সময় শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলোর প্রকোপ বেশি হয়।”

তার মতে, “সর্দিকাশি; ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, সিওপিডি ইত্যাদি রোগগুলো এই শীতে খুব ভোগায়। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়া বেশি ঠাণ্ডায় বয়স্কদের বাতের ব্যথা বেড়ে যায়।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, “ছোটদের এই সময় জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা হতে পারে। ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া-এসব সমস্যাও বেড়ে যায়। বড়দের ক্ষেত্রে হাঁপানি, সিওপিডি ইত্যাদি রোগ বাড়তে পারে। এ ছাড়া শরীরে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে।”

বেশি শীতে মানসিক রোগও বেড়ে যেতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এই সমস্যাকে শীতকালীন বিষণ্ণতা বা উইন্টার ব্লুজ বলা হয়।

মনোবিজ্ঞানী ফারজানা ফাতেমার মতে, “উইন্টার ব্লুজে আক্রান্ত হলে অকারণেই মন খারাপ, উদ্বিগ্ন ও ক্লান্ত লাগতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে, মন খারাপ হওয়া মানেই কিন্তু বিষণ্নতা নয়।”

তিনি জানান, এটি পুরুষদের তুলনায় নারীদের মাঝে বেশি দেখা যায়। এছাড়া বয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অল্প বয়সীদের মাঝে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটা এক ধরনের সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি)। যা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এতে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের উপসর্গগুলো শরৎকালে শুরু হয় এবং শীতের মাসগুলোতে চলতে থাকে।

শীতকালীন বিষণ্ণতা বা উইন্টার ব্লুজে আক্রান্ত হলে কোনো কাজে আনন্দ না পাওয়া, ঘরে বাইরে কোনো কিছু উপভোগ করতে না পারা, খেতে-ঘুমাতে ভালো না লাগা, শরীরের শক্তি হ্রাস, বদমেজাজি হয়ে উঠা, সামাজিক দূরত্ব, পড়াশোনা বা কাজে মনোসংযোগের ঘাটতি, মাদকাসক্তি, উগ্রতা, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে না থাকা, আত্মঘাতী চিন্তাসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

হার্টের সমস্যা থাকলে বুকে ব্যথা বাড়তে পারে জানিয়ে হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, "হার্টের নিজের রক্ত দরকার। বেশি শীতে হার্টের রক্তনালি সংকুচিত হয়ে যায়। তখন হার্টে রক্তের অভাব দেখা দেয়। এতে বুকে ব্যথা হয়। যাকে আমরা এনজাইনা বলি। এ ছাড়া এ সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।"

অধ্যাপক ডা.এ বি এম আব্দুল্লাহ প্রতিরোধের উপায়গুলো সম্পর্কে বলছিলেন, “বাইরে গেলে মাথা,কান ভালোভাবে ঢাকতে হবে। ঠান্ডা রোধে মধু, আদা্, এলাচ দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, “শীত থেকে রক্ষা পেতে একটি মোটা পোশাক না পরে, দু্ই তিনটি কাপড় পরতে হবে। মাফলার ব্যবহার করতে হবে। আর যাদের অ্যাজমা, ঠান্ডা-কাশি ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে, তাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। অ্যাজমা রোগীরা যেসব ওষুধ নিয়মিত খাচ্ছেন, সেগুলো যেন বন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শীত প্রতিরোধে ঘরে রুম হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে।”

শীতকাল,বৃষ্টি,হৃদরোগ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close