• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বাংলাদেশের পূর্ণার নকশায় জার্মান কোম্পানির জুতা

প্রকাশ:  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

রোকাইয়া আহমেদ পূর্ণা। যার স্বপ্ন ছিল বৈমানিক হওয়ার। কিন্তু নানা সংকটে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পরে আগ্রহ পেয়েছিলেন চারুকলায় পড়াশোনার। কিন্তু পরিবারের অমতে সে সুযোগও পাননি। শেষ পর্যন্ত মায়ের ইচ্ছাতে ভর্তি হয়েছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। এরপর আর সময় নেননি। দ্রুত চিনিয়েছেন নিজের কাজ। দেশের পাশাপাশি স্বীকৃতি পেয়েছেন বিদেশেও।

কাজ করেছেন “একিন”-এর মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের সঙ্গে। নিজের নকশায় পরিবেশবান্ধব উপাদান দিয়ে তৈরি করেছেন ভেগান স্নিকার্স।

২০২০ সালে জার্মান ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড “একিন” থেকে কাজ করার প্রস্তাব পান তিনি। তাদের জুতা বানানোর সময় পরিবেশের কথাও মাথায় রাখেন। তাতে এমন উপাদানগুলোই ব্যবহারের চেষ্টা করেন, যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করায় দায়ী নয়। কোম্পানির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেন অ্যালেক্স ও ফিলিপস। তারা একটি ভেগান স্নিকার বানাতে চান, যার ডিজাইনের দায়িত্ব দিতে চান পূর্ণাকে।

স্নিকারের নকশার অনুপ্রেরণা হিসেবে পূর্ণা বেছে নেন কাঁঠালকে। তার প্রথম ডিজাইন করা জুতার নাম দেন “একিন কামথালা”। বলা বাহুল্য, “কামথালা” নামটা এসেছে কাঁঠাল থেকেই।

জুতাটা ইউরোপের বাজারে এসেছে ২০২৩ সালে। বানানো হয় পর্তুগালে। এতে হলুদ রঙের ব্যবহার করা হয় পাকা কাঁঠালের অনুপ্রেরণায়। সামনের দিকের নকশায় কাঁঠালের সুচালো অংশের উপস্থাপন করা হয়। বাকি অংশে রাখা হয় ধূসর টেক্সচার, অনেকটা কাঁঠালগাছের বাকলের মতো। হাতে বানানো জুতাটাতে ব্যবহার করা হয় সব ভেগান উপকরণ। সোল বানানো হয় উপকরণগুলো পুনর্ব্যবহার করে। বাজারে এটি বেশ সমাদৃত হয়।

পূর্ণা নিজের কাজ নিয়ে অংশ নিয়েছেন ডেনিম অ্যান্ড জিন্স ইন্টারন্যাশনাল শো, ভারতের ইন্টারন্যাশনাল লয়েন লুম ফেস্টিভাল, চীনের উহান ফ্যাশন উইক, নিউজিল্যান্ডের আইডি ডানেডিন ফ্যাশন উইক, ফ্যাশন সিম্পোজিয়াম এক্সিবিশন ও ওটাগো মিউজিয়াম এক্সিবিশন এবং রাশিয়ার গ্লোবাল ট্যালেন্ট মার্সিডিজ-বেঞ্জ ফ্যাশন উইকে। শুধু অংশগ্রহণই নয়, পেয়েছেন সাফল্যও। ডেনিম অ্যান্ড জিন্স ইন্টারন্যাশনাল শোতে অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন পর পর দুইবার। এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড জেতেন উহানে। নিউজিল্যান্ডের ডানেডিন থেকে আনেন এন্ট্রেপ্রেনুরিয়াল প্রাইজ।

পূর্ণার স্বপ্ন, তিনি এদেশের জাতিগত ও সংখ্যালঘু নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর নারীদের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।

ব্যবসা-বাণিজ্য,নারী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close