আবারও টাকা ফিরছে ব্যাংকে
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে (বার্ষিক-বছর) স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আমানত ১০.৪৩% বেড়েছে বলে জানা গেছে।
সম্পর্কিত খবর
২০২৩ সালের জুনে এটি ছিল ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদি আমানত ১৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকায় বেড়েছে।
ডিমান্ড ডিপোজিটও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকায় বেড়েছে।
আমানতের হার ক্রমাগত বৃদ্ধিতে ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য আকৃষ্ট করার নীতি নেওয়ায় এটি বাড়ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার বাড়িয়ে ৮-১১% পর্যন্ত বৃদ্ধি করার ফলেও ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদহার কিছুটা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের হারের সর্বোচ্চ সীমা অপসারণের ফলে ব্যাংকগুলো সুবিধাজনকভাবে আমানতের হার বাড়াতে পেরেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলোর জন্য ন্যূনতম আমানতের হার বন্ধ করে দেয়, কারণ এটি ইতিমধ্যে আর্থিক বাজারে একটি বাজার-ভিত্তিক ঋণের হার ব্যবস্থা চালু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের ১৮ জুন যে মুদ্রানীতি নিয়েছিল। তাতে একটি নতুন সুদের হার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাতে আগে আরোপিত ৯% ঋণের হারের সীমা অপসারণ করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা ব্যাংকগুলিতে আমানত বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কারণ রেমিটেন্স নতুন অর্থ তৈরি করে।
এ অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৭.০৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যা আগের একই সময়ে ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার।
গত ৩২ মাসে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নির্দেশিকা অনুসারে, বাংলাদেশে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ১৯.৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। যা ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট ২৩.২৫ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে এসেছিল।