• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা জুনে

প্রকাশ:  ০৬ মে ২০২২, ১৪:৫২ | আপডেট : ০৬ মে ২০২২, ১৪:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। টানা দুই সপ্তাহ ধরে করোনায় নতুন কোনো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি। ১৮ দিন ধরে শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে। সর্বশেষ ১ জনের মৃত্যু হয়েছিল গত ২০ এপ্রিল এবং ১৭ এপ্রিল শনাক্তের হার ১ শতাংশের সামান্য বেশি ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ হয়েছিল। কিন্তু তাই বলে দেশে করোনাভাইরাস নির্মূল হয়ে গেছে, এমনটি ভাবতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। বরং আগামী একমাসের মধ্যেই করোনার নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।

আগামী জুন মাসে দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, করোনার টিকা নিলে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে। এ সময়ের মধ্যে আবার আগের ফর্মে পুনরায় সংক্রমিত হতে পারে। বাংলাদেশে মার্চের শেষ দিক থেকে সংক্রমণের নিম্নহার চলছে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে। সে হিসেবে জুনের দিকে একটা নতুন ঢেউয়ের ঝুঁকি রয়েছে। তবে টিকার কাভারেজ ভালো থাকে, হাসপাতাল থেকে যদি সংক্রমণ না ছড়ায় এবং যার যার পরিবার যদি সতর্ক থাকে, তাহলে চতুর্থ ঢেউ এলেও ও সংক্রমণ কিছুটা ছড়ালেও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হব না। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, ৫০ বছরের ওপরে যাদের বয়স বা দীর্ঘদিন ধরে যারা রোগে ভুগছেন, তাদের শতভাগকে টিকার আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবী থেকে মহামারী দূর না হলে কোনো দেশ এককভাবে করোনা শূন্য ঘোষণা করতে পারে, কিন্তু মহামারীমুক্ত ঘোষণা করতে পারে না। বাংলাদেশ করোনা সংক্রমিত হওয়ার সর্বশেষ ধাপ করোনাশূন্যও হতে পারে, যেমন মৃত্যুশূন্য আছে বেশ কিছুদিন। কিন্তু কিছুতেই করোনামুক্ত বলা যাবে না। করোনা সংক্রমণকে যেসব দেশ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, সেসব দেশের প্রথম সারিতে রয়েছে চীন। এ ছাড়া তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান, নিউজিল্যান্ড, ভুটান, থাইল্যান্ডও করোানা নিয়ন্ত্রণে বেশ সফল। কিন্তু সেই চীনের সাংহাইয়ে করোনা কিছুটা কমেছে, এখন পেইচিংয়ে হচ্ছে। কাজেই একজন মানুষ বা জনগোষ্ঠী যদি মনে করে করোনা চলে গেছে, সতর্ক থাকব না, সে কিন্তু শেষ মুহূর্তে আক্রান্ত হয়ে বিপদে পড়তে পারে।

এখনো করোনা মহামারীর জন্য আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ, বিশেষ করে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের দেশগুলো বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ডা. মুশতাক হোসেন।

তিনি বলেন, এসব দেশে টিকা নেওয়ার হার খুবই কম। টিকার অভাব নেই, কিন্তু সেখানে টিকা খুব গুরুত্ব পাচ্ছে না, টিকাদানে নানা সংকট রয়েছে সেখানে। কাজেই গোটা বিশ্ব মিলে ব্যবস্থা না নিলে ওখান থেকেই নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হবে। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার দুটি নতুন মৃদু ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সেটা ওমিক্রন থেকে ভিন্ন কিছু প্রমাণিত হয়নি, কিন্তু হতে কতক্ষণ।

পূর্বপশ্চিম- এনই

করোনা,করোনার ঢেউ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close