'অভিযান চলাকালে দোকান বন্ধ থাকলে লাইসেন্স বাতিল'
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় জরিমানা করলেও ভেজাল বন্ধ করতে সক্ষম হইনি। তাই আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত বা প্রতীয়মান হলে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো, সেটা প্রতীকী হলেও করবো।
রোববার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি এলাকায় ডিএসসিসির পক্ষ থেকে খাদ্যে ভেজাল বিরোধী স্পেশাল ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
ভেজালবিরোধী অভিযানের শুরুতেই মেয়র নিজে উপস্থিত থেকে ধানমন্ডির স্টার কাবাবে অভিযান চালান। কিন্তু কোনোকিছু না পেয়ে তিনি চলে যান। যাওয়ার সময় অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য ভেজালবিরোধী টিমকে নির্দেশনা দেন। দিনব্যাপী এই অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, ভেজালবিরোধী অভিযান ঘোষণা হওয়ার কারণে কোনও প্রতিষ্ঠান বা দোকান বন্ধ রাখা হলে সেই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
সাঈদ খোকন বলেন, খাদ্যে ভেজালের জন্য বিগত দিনে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু এর তেমন সুফল পাওয়া গেছে বলে আমরা মনে করছি না। এজন্য এখন থেকে যেসব প্রতিষ্ঠানে খাদ্যে ভেজাল পাওয়া যাবে, সেই প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডও দেয়া হবে। সেটা প্রতীকী এবং সাময়িক হলেও, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জেল খাটতে হবে।
আগামী সাত কর্মদিবস ধানমণ্ডি এলাকায় খাদ্যে ভেজালবিরোধী বিশেষ অভিযান চলবে জানিয়ে মেয়র বলেন, এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
তবে আগাম ঘোষণা দিয়ে ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু করায় সমালোচনা করেছেন ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দারা।
এসময় মেয়রের সাথে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শেখ মো. সালাহউদ্দিন সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
পিবিডি/আরিফ