হয়রানিমূলক মামলা কমিয়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করুন: আইনমন্ত্রী
বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কিভাবে হয়রানিমূলক মামলা কমিয়ে স্বল্প ব্যয়ে এবং কম সময়ে মানুষকে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা যায় তা খেয়াল রাখতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর বিচার প্রসাশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
আনিসুল হক বলেন, সংবিধানে নারী অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল প্রকার কর্মে ও পেশায় সমতা বিধানের কথা সন্নিবেশ করা আছে। ১৯৭৪ সালে প্রথম বিচারবিভাগে নারী বিচারক নিয়োগের বাধা বিলুপ্ত করা হয়। শুরু হয় অধস্তন আদালতে নারী বিচারকদের পথচলা। সরকার ২০০১ সালে হাইকোর্টে এবং ২০১১ সালে আপিল বিভাগে সর্বপ্রথম নারী বিচারপতি নিয়োগ দেয়। তাছাড়া ২০১১ সালের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণের সমতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই বিচার বিভাগে নারীদের অংশগ্রহণ অন্যান্য পেশার মতোই লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ৫৩ জন নারী বিচার বিভাগে যোগদানের পর বর্তমানে মোট বিচারকের প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশই নারী বিচারক রয়েছেন। এই সংখ্যা ইউরোপ, আমেরিকা বা আমাদের প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বেশি।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য এবং সিনিয়র জেলা জজ তানজীনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি ফাতেমা নজীব। এছাড়া সভায় দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত নারী বিচারকরা ।
পিবিডি/জিএম