• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসল হুমকির মুখে: পীর মিসবাহ

প্রকাশ:  ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১৮:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, ‌‘আমাদের সুনামগঞ্জ হাওর এলাকা এবং এর একমাত্র ফসল হচ্ছে বোরো ফসল। ১০ থেকে ১৫ দিন সময় প্রয়োজন আমাদের বোরো ফসলটা ঘরে ওঠার। কিন্তু আজকে এই মুহূর্তে আমাদের সুনামগঞ্জের বোরো ফসল হুমকির মুখে রয়েছে।’

সোমবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

পীর মিসবাহ বলেন, ‘সুনামগঞ্জে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ১৩ লাখ মেট্রিকটন। সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার ৫২টি হাওরে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়।কিন্তু মাননীয় স্পিকার, আমাদের সুনামগঞ্জ হাওরে এখন সীমান্তের ওপারে মেঘালয় পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল নেমে আসছে। সুনামগঞ্জেও গত কয়েকদিন ধরে খুবই বৃষ্টি হচ্ছে। আমি এলাকায় ছিলাম। গত শুক্রবারও জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, আমাদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রশাসন এটার গুরুত্বটা বুঝছে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘২০১৭ তে ফসলহানির ঘটনায় আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে গিয়েছিলেন। এই ফসলহানি হলে হাহাকার হয়ে যায়। এটি ঘটতে খুব বেশিদিন লাগে না। এক দুইদিনের মধ্যে একটা দুইটা বাঁধ ভাঙা শুরু হলে সমস্ত হাওর তলিয়ে যায়।’

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, ‘আমি শুক্রবার এলাকায় ছিলাম, শনিবার আমাদের টাঙ্গুয়ার হাওর, বিশাল হাওর, সেই হাওরের একটা অংশে নজরখালি বাঁধ। সেই বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে গেছে। আরও কয়েকটি বাঁধ, তাহেরপুর উপজেলার আনন্দনগরে আরেকটি বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন সেটা রক্ষার ব্যবস্থা করছেন।তাহেরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই এই তিনটা উপজেলায় কয়েকটি বাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। এই বাঁধগুলো যদি ভেঙে যায় মাননীয় স্পিকার এবং এই পানি ঢুকে যায়, তাহলে এই ফসল আর রক্ষা করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মাত্র কয়েকটা দিন দরকার এই ফসল তোলার জন্য। কাজেই এই ফসলকে গুরুত্ব দিয়ে, আমি মনে করি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এখন তাদের সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা করা দরকার। ৯ লাখ মেট্রিকটন ধান মাননীয় স্পিকার, এটি বিশাল। এই ফসল যদি তলিয়ে যায়, ৯ লাখ মেট্রিকটন ধান বিদেশ থেকে আমদানি করা আমাদের জন্য কঠিন। কাজেই আমি দাবি করব, আজকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এখানে উপস্থিত আছেন। তিনি এই ৫২টি হাওরের বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এই বিশাল বরাদ্দ সরকার দিয়েছেন হাওরের বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য। যেগুলো নির্মাণ হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে হয়েছে কি না, যদি না হয়ে থাকে এই মুহূর্তে আর সময় নেই, স্পটে গিয়ে সমস্ত বাঁধের যেখানে যা দরকার তাই করা দরকার মাননীয় স্পিকার। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিব এবং কৃষিমন্ত্রীর এই মুহূর্তে সুনামগঞ্জে যাওয়া দরকার।’

পূর্বপশ্চিম- এনই

পীর মিজবাহ,পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close