• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

১০ দিনে বাইক দুর্ঘটনায় নিহত ৯৭, অর্ধেকেরও বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক

প্রকাশ:  ০৭ মে ২০২২, ১০:১৯
পূর্ব পশ্চিম ডেস্ক

ঈদের আগে-পরে গত ১০ দিনে সারাদেশে মোটরবাইক দর্ঘটনায় ৯৭ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫১ জনই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। অর্থাৎ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ শতাংশেরই বয়স ছিল ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছেন।

রোড সেফটির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত সারা দেশে ১৭৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় ২৪৯ জন। এদের মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহী ৯৭ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এত বেশি নিহতের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের ঈদযাত্রায় গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল ব্যবহৃত হয়েছে। তাই দুর্ঘটনাও বেশি হয়েছে।

রোড সেফটির অপর একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত ১১২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ জন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়। যা মোট মৃতু্যর ৪০ দশমিক ২৮ শতাংশ।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শহর থেকে মানুষ গেছেন। এই যাত্রায় বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনের পাশাপাশি এবার ব্যাপকহারে যুক্ত হয়েছে মোটরসাইকেল। যেসব মোটরসাইকেল রাজধানীতে রাইড শেয়ার করত, তারাই বাড়ি যাওয়ার সময় নিজ নিজ এলাকার যাত্রীদের নিয়ে চলে গেছেন। মোটরসাইকেলের চাপে এবার ফেরিঘাটগুলোতে আলাদা ফেরি দিতে হয়েছিল। আর এ কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাও বেশি ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই কোনোরকম মোটরসাইকেল চালানো শিখেই রাস্তায় যাত্রীবহন করতে নেমে পড়ছেন। এতে যাত্রী ও চালকের দুজনের ঝুঁকি বাড়ছে।

‘মানুষ বাধ্য হয়ে গণপরিবহন হিসেবে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে’ বলে মনে করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্হা নাজুক। তাই মানুষ মোটরসাইকেলকে বিকল্প হিসেবে দেখছে। এতে অনেকে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারলেও তাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন ব্যবস্থা জনবান্ধব করলে এসব মৃতু্য থেকে মানুষকে রক্ষা করা যাবে।’

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

মোটরসাইকেল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close