আর ছাড় নয়, ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সিটি করপোরেশন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু বাড়িতে বা নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা করে আসার কিছুদিন পর অভিযান চালালে আবারও লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। এখন থেকে আর ছাড় নেই। কোনো ভবনে দ্বিতীয়বার অভিযানে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মহাখালীতে ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল পরিবর্দশনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
এসময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র শুরুতেই হাসপাতালটি ঘুরে দেখেন। তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, অসময়ে বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। তাই ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে করোনা রোগী এবং ডেঙ্গুরোগীদের আলাদা জোনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা আছে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির সময়ে মানুষকে চিকিৎসা দিতে আমরা ডিএনসিসির মার্কেটকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করি। মার্কেট থেকে আমরা ২০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারতাম। টাকার দিকে না তাকিয়ে মানুষের সেবার দিকে গুরুত্ব দিয়ে ২৫৮টি দোকানের বরাদ্দ বাতিল করে দেই। আমরা এক হাজার বেড সম্পন্ন হাসপাতাল নির্মাণ করি। এখানে ২১২টি আইসিও বেড রয়েছে। করোনা রোগীর সংখ্যা এখন অনেক কম। তাই আমরা এই হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জনগণের চিকিৎসা সেবা বাড়াতে ডিএনসিসি এলাকায় ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে। ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালকে জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে। ৫৪টি ক্লিনিকে জনসাধারণ প্রাথমিক চিকিৎসা নেবে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ডিএনসিসি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করতে এবং অন্যান্য সমস্যা জানতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পুরপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে সচেতনতা কার্যক্রম ও অভিযান চলমান থাকবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম