ঢাকার সঙ্গে পাঁচ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলা থেকে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, গণসমাবেশ ভণ্ডুল করে দিতে সরকার এমন কাজ করছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকে ঢাকা রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
ঢাকা রুটে বাস বন্ধের পূর্ব ঘোষণা না থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। ঢাকামুখী যাত্রীদের বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ভারতগামী যাত্রীরাও পড়েছেন বিপাকে। বন্ধ রয়েছে বরিশাল বেনাপোল রুটের বাস চলাচলও।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক বাবলু বলেন, বৃহত্তর ফরিদপুরের বাস মালিক-শ্রমিকরা শুক্র ও শনিবার ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা রুটের বাসগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় অতিক্রম করতে হয়। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় ওই জেলার সড়কপথে বাস চলাচল করতে দেবেন না ফরিদপুরের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা থেকে রাজধানীর যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল থেকে বেনাপোল রুটেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিএনপি যেদিন থেকে সমাবেশ করে আসছে, সেদিন থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকা শুরু করেছেন। এর আগে রংপুর, বরিশালে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবে ফরিদপুরের বাস মালিক সমিতি।
ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের সমন্বয়কারী শামা ওবায়েদ অভিযোগ করে বলেন, সরকার সব জায়গায় পরিবহন ধর্মঘট ডেকে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করতে চেয়েছে। ফরিদপুরেও তেমনটা করা হচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্র শনিবার বিএনপির সমাবেশ আটকাতে পারবে না।
উল্লেখ্য, শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এ সমাবেশ কেন্দ্র করে ফরিদপুরে বাসসহ সব ধরনের যান্ত্রিক যানবহন শুক্র ও শনিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুইদিন একইভাবে বরিশালে বাসসহ সব ধরনের যান্ত্রিক যানবহন বন্ধ রাখা হয়েছিলো।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম