ভারতের সঙ্গে বন্ধ রেললাইনগুলো চালু করতে চাই: রেলমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে বন্ধ রেললাইনগুলো সরকার পুনরায় চালু করতে চায় বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এর দ্বিতীয় দিনে ষষ্ঠ অধিবেশন শেষে এ কথা জানান তিনি।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আজকে জেলা প্রশাকদের সঙ্গে তিনটি মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে রেলের পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। সেখানে আমি বলেছি, রেলকে আমরা প্রতিটি জেলায় সংযুক্ত করতে চাই। আমাদের দুই ধরনের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ ও মিটারগেজ; দেশের সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করতে চাই।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালে ভারতের সঙ্গে যে রেললাইনগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো, সেগুলো আমরা পুনরায় চালু করতে চাই। পাশাপাশি উভয় দেশের চাহিদা অনুযায়ী নতুন কোনো জায়গায় যদি আমরা রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই, যেমন বাংলাবান্ধা দিয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে, আখাউড়া থেকে আগরতলার সঙ্গে- এই দুইটা নতুন রেল পথ যুক্ত করতে চাই।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের যেসব প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে, এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইন আমাদের নির্ধারিত সময়ে চলতি বছরে জুনে শেষ করতে চাই। কোনো কারণে দেরি হলে বা না পারলেও চলতি বছরের মধ্যে আমরা কক্সবাজার পৌঁছাতে পারবো। আরেকটি হলো পদ্মা সেতু পার হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত এই অংশটা, জুন মাসের মধ্যে ভাঙ্গা পর্যন্ত ফরিদপুরের পুরোনো রেলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবো। সে অনুসারে কাজটি চলমান রয়েছে। যদিও এই প্রকল্প ২০২৪ সালের মধ্যে যশোর পর্যন্ত সংযুক্ত হতে চাই। একই সঙ্গে আশা করছি, জুন মাসের মধ্যে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত প্রকল্পটি উদ্বোধন করতে পারবো।
তিনি বলেন, ৭২ কিলোমিটার রেললাইন চট্টগ্রামের সঙ্গে হচ্ছে। সে প্রকল্পের ইতোমধ্যে লাকসাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার ডাবল লাইনের রেল চালু হয়েছে। ৫৯ কিলোমিটারের একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠানো হয়েছে। সেটাও তিনি উদ্বোধন করবেন। লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ১৭ কিমি, টঙ্গি থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এবং পাকশির সাথে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ১৯ কিলোমিটারসহ সব মিলিয়ে ৭০ কিলোমিটারের মতো রেললাইন নতুন করে উদ্বোধন করা হবে। আমাদের বাকি প্রকল্পগুলোর ভালো একটা রেজাল্ট অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পাবো।
রেল নিয়ে ডিসিরা কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, শুধু শেরপুরের ডিসি বলেছেন, ‘শেরপুর পর্যন্ত রেল নিয়ে যেতে হবে’। আমি বলেছি, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে দেশের প্রতিটি জেলার সাথে রেল সংযোগ স্থাপন করা হবে’।
রেলের পড়ে থাকা জমিগুলো কৃষি খাতে দিয়ে দেওয়ার একটা কথা শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি, রেলের অব্যবহৃত জমিগুলো যাতে দ্রুত কৃষির আওতায় নিয়ে আসতে পারি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম