ফেব্রুয়ারিতে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ৫২২ জনের
চলতি বছরের ফেব্রয়ারি মাসে রেল, নৌ-পথ ও সড়ক পথে সারাদেশে ৫০৭টি দুর্ঘটনায় ৫২২ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আরো ৭৯৫ জন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্পর্কিত খবর
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭২ চালক, ৯৩ পথচারী, ৩৪ পরিবহন শ্রমিক, ৬২ শিক্ষার্থী, ১৪ শিক্ষক, ৫ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯৪ নারী, ৬৭ শিশু, একজন সাংবাদিক, একজন আইনজীবী, একজন প্রকৌশলী এবং ৯ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। যার মধ্যে নিহত হয়েছেন- ৩ পুলিশ সদস্য, ২ সেনাবাহিনীর সদস্য, ১৩৩ চালক, ৮৬ পথচারী, ৫২ নারী, ৪৪ শিশু, ৫০ শিক্ষার্থী, ২৪ পরিবহন শ্রমিক, ১১ শিক্ষক, একজন প্রকৌশলী, একজন আইনজীবী ও ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় ৫৯৮টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ১৩.৭১ শতাংশ বাস, ২৭.০৯ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৭.১৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৬.৩৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৫.৫৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১২.০৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক এবং ৮.০২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৭.৭১ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৯.০১ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৩.৮৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৮.০৫ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২২ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁছিয়ে ও ০.৮৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে সংগঠিত দুর্ঘটনার ৩১.৯৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১.৭০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ৩৮.৯২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.২৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২.২৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৮৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি সংগঠিত হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি। এই দিনে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি। এই দিনে ৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম