• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ:  ১৫ মে ২০২৩, ১৭:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বর্তমানে যে রিজার্ভ আছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ডলার সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৫ মে) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৩১.২২ বিলিয়ন রিজার্ভ রয়েছে। ২০০৬ সালে ছিল এক বিলিয়নেরও কম। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

সরকারপ্রধান জানান, কোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। সে হিসেবে আমাদের আরও বেশি রয়েছে। এজন্য রিজার্ভ কমে যাওয়াকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছে না সরকার।

নদী দখল বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে কে কে নদীখেকো আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, 'নদীখেকো যদি বলতে হয়, তাহলে তো মিলিটারি ডিকটেটরদের কথা বলতে হবে।'

তিনি জানান, আইয়ুব খান থেকে শুরু করে বেগম জিয়া নদী-খালে হাউজিং করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এসে জলাধার রক্ষা করা হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাঈদ খোকন যখন যখন মেয়র ছিল, তখন তাকে দিয়ে আমি অনেকগুলো পুকুর উদ্ধার করেছি। আমি ইতোমধ্যে অনেকগুলো নদী উদ্ধার করেছি, নদী ড্রেজিং করেছি। আমরা যখন এ কথা বলতাম, তখন একমাত্র মতিয়া চৌধুরী ছাড়া কারো সমর্থন পেতাম না। আমরা অনেক নদী উদ্ধার করেছি এবং করব।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কে কে নদীখেকো, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। নাম আছে? মতিঝিলে বিশাল ঝিল ছিল। জায়গাটা মতিঝিল, ঝিলের কোনো অস্তিত্বই নেই। হাতিরঝিলও ঝিল ছিল। সেটাকে রক্ষা করেছি।

অনেক বড়লোক নদী দখল করে আছেন। সেগুলো উদ্ধার করা কঠিন বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, 'অনেক জায়গায় তো হাত দেওয়াই মুশকিল।

নদীখেকোদের খুঁজে বের করতে হবে

দেশের মধ্যে কে কে নদী খেকো আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নদী খেকো যদি বলতে হয়, তাহলে তো মিলিটারি ডিকটেটরদের কথা বলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইয়ুব খান থেকে শুরু করে বেগম জিয়া, নদী-খালে হাউজিং করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এসে জলাধার রক্ষা করেছে। অনেক পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সাঈদ খোকন যখন যখন মেয়র ছিল, তখন তাকে দিয়ে আমি অনেকগুলো পুকুর উদ্ধার করেছি। আমি ইতোমধ্যে অনেকগুলো নদী উদ্ধার করেছি, নদী ড্রেজিং করেছি। আমরা যখন এ কথা বলতাম, তখন একমাত্র মতিয়া চৌধুরী ছাড়া কারও সমর্থন পেতাম না। আমরা অনেক নদী উদ্ধার করেছি এবং করব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে কে নদীখেকো, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। নাম আছে? মতিঝিলে বিশাল ঝিল ছিল। জায়গাটা মতিঝিল, ঝিলের কোনো অস্তিত্বই নেই। হাতিরঝিলও ঝিল ছিল। সেটাকে রক্ষা করেছি।’

অনেক ধনীরা নদী দখল করে আছে, সেগুলো উদ্ধার করা কঠিন বলেও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় তো হাত দেওয়াই মুশকিল।’

ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী কোনো দেশের কাছ থেকে কিছু কেনা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, সেসব দেশ থেকে কিছু কিনব না, এত ভয়ের কী আছে। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। কারও ওপর নির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দুটি পদক্ষেপ নিয়েছি বলেও জানান সরকারপ্রধান।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close