• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শিল্পকলায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ঢাকের তালে নৃত্য ছন্দে বসন্তবরণ

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৩৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

দখিনা বাতাস, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় প্রকৃতির রং রস নিয়ে আগমন হলো বসন্তের। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রমনা পার্কে পহেলা ফাল্গুন, ঢাকের তালে বসন্ত নৃত্যের রঙিন পরিবেশনা ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঋতুরাজকে বরণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

শীতের নির্জীব প্রকৃতি ছেড়ে সহসা জেগে ওঠা প্রকৃতির রূপ, রস, বর্ণ, গন্ধ, স্পর্শ আর সৌন্দর্যের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সেজেছিল বসন্তের সাজে।

রমনায় শতায়ু অঙ্গনের পাশে ২২৫ জন নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বসন্তবরণের আয়োজন। রমনার প্রাণ প্রকৃতির রং আর শিশুশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনায় মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। রমনার এ আয়োজনে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক।

আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আজকের বসন্ত উৎসব আমরা যেন যুগ যুগান্তর ধরে উদযাপন করতে পারি। আমাদের পরবর্তী বংশধররা যাতে এই বসন্ত উৎসব উদযাপন করতে পারে, উপভোগ করতে পারে সেই দায় আমরা পরবর্তী প্রজন্মের ওপর রেখে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। সভাপতির বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত হোসেন লাকী।

লিয়াকত হোসেন লাকী বলেন, ‘আমাদের এই প্রজন্মরাই সংস্কৃতির আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবে। এই ফাল্গুন বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। আমরা বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছি। আমাদের বৈশাখ, আমাদের ফাল্গুন, চৈত্র সংক্রান্তি বাঙালির আনন্দ উল্লাসের ভাষা, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারা। আমরা কোনোভাবেই তা হারাতে দেব না। আমাদের এই প্রজন্মই তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিবে।’

রমনা থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত প্রায় ৩ শতাধিক শিল্পী এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি রমনা পার্ক প্রদক্ষিণ করে মৎস্য ভবন হয়ে শোভাযাত্রা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা,আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close