• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নানক-নাছিম বনাম ফেরদৌস-সাকিব

প্রকাশ:  ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:৩১ | আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:৩৪
সৈয়দ বোরহান কবীর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে গত ২৬ নভেম্বর। এবারের নির্বাচন বড়ই অদ্ভুত নির্বাচন। এই নির্বাচনে একটিই ফলাফল হতে পারে। সেটি হলো আওয়ামী লীগের বিজয়। বিএনপি এবং তার মিত্ররা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম সহ যে সব রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদের একটাই লক্ষ্য, ‘বিরোধী দল’ হওয়া। তবে নির্বাচন টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জের। পশ্চিমা বিশ্ব নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। আওয়ামী লীগকে যেমন একদিকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে, তেমনি নির্বাচন যেন ‘অংশগ্রহণমূলক’ হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি যদি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ না হয়, তাহলে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতার সংকটে পড়বে। এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য আরেক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এবারের ভোট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য আবর্জনা পরিষ্কারের এক সুবর্ণ সুযোগ। যেহেতু নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি নেই, তাই আওয়ামী লীগ পরিচ্ছন্ন, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণদের প্রার্থী করার এক বিরল সুযোগ পেয়েছিল। মনোনয়নের আগে এরকম একটি সুস্পষ্ট বার্তাও ছিলো।

২৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা দেখে আমি একদিকে উচ্ছসিত, অন্যদিকে আতঙ্কিত। আমি উচ্ছ্বসিত একারণে যে মাঠের নেতাদের, কর্মীবান্ধব সংগঠকদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, বাহাউদ্দিন নাছিম, এস.এম কামাল। এরা এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীদের জন্য এটি একটি বিরাট বিজয়। এর ফলে কর্মীরা উচ্ছ্বসিত, উজ্জীবিত। গত পাঁচ বছর যারা সংগঠনকে আগলে রেখেছিলেন তাদের মধ্যে এরা অন্যতম। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগ নানা রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে আতঙ্কের রোগ হলো অনুপ্রবেশকারী, চাটুকার, সুবিধাবাদীদের দৌরাত্ম। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা অর্বাচীন নেতাদের কারণে কর্মীরা হতাশ এবং বিরক্ত। ত্যাগী পরীক্ষিতদের একটা বড় অংশ নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল সর্বত্রই অনুপ্রবেশকারীদের দাপট রীতিমতো মহামারী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এরকম বাস্তবতায় সংগঠনের জন্য নিবেদিত প্রাণ, দুঃসময়ের যোদ্ধারা যদি নির্বাচন থেকেও দূরে থাকতেন, তাহলে এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটি গভীর সংকটে পড়ত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি মনোনয়ন প্রদানে মাঠের নেতা, দুঃসময়ে কান্ডারী, ত্যাগী পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করেছেন। জনপ্রিয় নেতা মির্জা আজম ছয়বারের এমপি। এবারও তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। মনোনয়ন পেয়েছেন কঠিন সময়ে দলের জন্য কাজ করা আলাউদ্দিন নাসিম চৌধুরী সহ বেশ কজন। এই মনোনয়ন প্রাপ্তরা সংগঠন গোছাতেই শুধু অবদান রাখবেন না, কর্মীদের ভোটের মাঠে নামাতেও উৎসাহ যোগাবেন। এই সব মাঠের কর্মী বান্ধবদের প্রার্থী হবার কারণে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে, ভোট খরা কাটবে।

নানক-নাছিমের মনোনয়ন আমাকে আরেকটি কারণে আশাবাদী করেছে। রাজনীতিতে আদর্শে অবিচল থাকলে লক্ষ্য অর্জন যে করা যায়, এরা সেই সত্যটিকে নতুন করে প্রমাণ করলেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনে এরা মনোনয়ন বঞ্চিত হন। নিশ্চয়ই একারণে তারা দুঃখিত হয়েছিলেন, বেদনার্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এই বঞ্চনা তাদের আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। তারা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকেননি। রাজনীতি থেকে সরে যাননি। কিংবা অনেকের মতো ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হয়ে নিজেদের লোভের উদগ্র প্রকাশ ঘটাননি। বেদনাকে চাপা দিয়ে রাজনীতিতে আরো নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করেছেন নানক, নাছিম, রহমান, কামাল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর যখন ভাগ-বাটোয়ারার রাজনীতির আগ্রাসন তখন তারা সংগঠনে মনোযোগী হয়েছেন। হতাশ কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলের সভাপতির দেয়া দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নেতার অভাব হয় না। বিচিত্র সব নেতাদের নাদুসনুদুস শরীরে মঞ্চ ভেঙ্গে পড়ে। কাজের নেতা নয় এরা সব মতলবী নেতা। নানক, নাছিমরা কাজের নেতা। তাই তাদের মনোনয়ন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ রক্ষা পেয়েছে। কর্মীরা অন্তত নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগটা পাচ্ছে। এটা টানা ক্ষমতায় থাকা দলের জন্য একটা বড় সুখবর।

তবে এই মনোনয়ন তালিকায় কয়েকজনের মনোনয়ন প্রাপ্তি আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে, আতঙ্কিত করেছে। এদের মধ্যে আলোচিত দুইজন হলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’ সাকিব আল হাসান এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

বিশ্বে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসা নতুন ঘটনা নয়। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অর্জুনা রনাতুঙ্গা ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয় ছিলো এক অভূতপূর্ব বিস্ময়। এই বিজয় রনাতুঙ্গাকে দিয়েছিল জাতীয় বীরের মর্যাদা। কিন্তু রাজনীতিতে সুবিধা করতে পারেননি তুখোড় এই অধিনায়ক। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম ইমরান খান। ইমরান খান প্রায় একাই পাকিস্তানকে ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ১৯৯২ সালে। তার নেতৃত্ব গুণ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিল। তিনিও হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানিদের ‘জাতীয় বীর।’ ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ইমরান খান সমাজ সেবায় মন দেন। ক্যান্সারে মারা যাওয়া মায়ের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি গড়ে তোলেন বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল। পাকিস্তানের মানুষের হৃদয়ে জয় করেন ইমরান স্পষ্ট কথাবার্তা বলে, সততার নজির স্থাপন করে। তিনি মুসলীম লীগ কিংবা পিপলস পার্টিতে যোগদিতে পারতেন। এরকম প্রলোভনও ছিলো। কিন্তু প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নিজেই একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। ইমরান খানের নেতৃত্বে তেহরিক-ই-ইসলাম ধীরে ধীরে বিকশিত হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়। ইমরান হন প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালে নানা ষড়যন্ত্রে ক্ষমতাচ্যুত হন। কিন্তু এখনও পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইমরান খান জনপ্রিয় নাম। আমাদের সাকিব আল হাসান অবশ্য অর্জুনা রনাতুঙ্গা কিংবা ইমরান খানের ধারে কাছেও নন। বিশ্বকাপ জয় তো দূরের কথা, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তিনি কোন অন্ধাকার টানেলে নিয়ে গেছেন তা নিয়ে দিব্যি বিতর্ক হতে পারে। সাকিব মেধাবী ক্রিকেটার কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এ যাবৎ কালের সেরা খেলোয়াড়, এনিয়েও বিতর্ক নেই। কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি বারবার বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। কখনো দর্শকদের সাথে অশোভন আচরণ করে, মারমুখী হয়ে। এখনও খুঁজলে আম্পায়ারের দিকে তার তেড়ে ফুড়ে আসার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যাবে। বুকির সাথে যোগাযোগ, তামিমের সাথে বিরোধ, অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ নিয়ে সব সময় আলোচনায় সাকিব আল হাসান। এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবির নেপথ্যে সাকিবের রাজনীতি দায়ী-এমনটা বিশ্বাস করেন দেশের বেশীর ভাগ ক্রিকেট ভক্ত। বিশ্বকাপের পর তার শাস্তি পাওয়ার কথা, তিনি পেলেন পুরস্কার। গত দুবছর ক্রিকেটের চেয়ে তার মনোযোগ ছিলো ব্যবসা-বাণিজ্যে, টাকা পয়সা উপার্জনে। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রকদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে তিনি যা খুশী তাই করেছেন, বাধাহীন ভাবে। দেশের জন্য, জনগণের জন্য একটি মহৎ কাজের উদাহরণ নেই, এই ক্রিকেটারের জীবনে। তাকে কেন মনোনয়ন দিতে হবে? ক্রিকেটের জন্য সাকিব প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ মানলাম, কিন্তু রাজনীতির জন্য, দেশের জন্য তিনি আদৌ কি প্রয়োজনীয়। এই নির্বাচনে যদি বিএনপি আসতো, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শঙ্কা থাকতো তাহলে সাকিবের মনোনয়ন প্রাপ্তির একটি যৌক্তির কারণ হয়তো খুঁজে পাওয়া যেত। তাকে এমন একটি আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, যে আসনটির বর্তমান এমপি একজন ত্যাগী পরীক্ষিত কর্মী। যার গোটা পরিবারের ত্যাগ এবং আদর্শের লড়াই আওয়ামী লীগের জন্য অনুকরণীয়। ৭৫ এর পর যারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তোলার জন্য কঠোর ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে সাইফুজ্জামান শিখর সেই পরিবারের উত্তরাধিকার। এক-এগারোর সময় শিখরের নিষ্ঠা, দলের নেতার প্রতি আনুগত্য আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। কঠিন সময়ে সাকিব আল হাসান কি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন? ত্যাগীরা শুধু ত্যাগ স্বীকার করবেন, সুবিধাবাদীরা ক্রীম খাবেন?

বাংলাদেশের ক্রিকেটে যেমন এখন ঘুটঘুটে অন্ধকার। তার চেয়ে ঘোর অমানিশা সিনেমায়। শাকিব খান আর নতুন কয়েকজন সৃষ্টিশীল নির্মাতার পাগলামীতে আমাদের সিনেমা এখন কোন মতে শ্বাস নিতে পারছে। সিনেমার অধিকাংশ তারকাদের কাজ নেই। তাই তারা নানা কাজে ব্যস্ত। রাজনীতিতে নগদ নারায়নের সৌভাগ্য ভান্ডার আছে, সেজন্য পরিত্যক্ত তারকাদের একটি বড় অংশকে এখন ক্ষমতাসীন দলের চারপাশে ঘুর ঘুর করতে দেখা যায়। গত ১৫ বছরে শোবিজে যতজন আওয়ামী লীগ হয়েছেন, দেশে ততো গুলো ব্রিজ হয়েছে কিনা আমার সন্দেহ। অথচ এই সব শোবিজের সুবিধাবাদীরা দুঃসময়ে কি করে তা নিজেই দেখেছি। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হন বিচারপতি লতিফুর রহমান। এই সময় বিএনপি তাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য নির্মাণ করে ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ নামে একটি ধারাবাহিক প্রামাণ্য চিত্র। অধ্যাপক ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন উপস্থাপক আর মাহি.বি.চৌধুরী নির্মাতা। এটিএন বাংলায় প্রচারের সাথে সাথে এনিয়ে হৈ চৈ পরে যায়। আওয়ামী লীগের কাছে ছিলো এটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। পাল্টা একটা প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়। দায়িত্ব পরে আমার উপর। প্রতিদিন একটি করে মোট ২১টি প্রামাণ্য চিত্র বানিয়েছিলাম ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ শিরোনামে। ঐ অনুষ্ঠানের জন্য একজন উপস্থাপক খুঁজতে আমরা শোবিজের তারকাদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছিলাম। তাদের বলেছিলাম আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলার দরকার নেই, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলুন। শমী কায়সার ছাড়া সবাই আমাদের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, আমরা শিল্পী। এসব বিতর্কে জড়াতে চাই না। এখন দেখি তারাই মস্ত বড় আওয়ামী লীগার। সারাজীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা শমী কায়সার অবশ্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেয়েছেন, সুসময়ে স্তুতি গানে চ্যাম্পিয়ন ‘অবসর প্রাপ্ত’ শিল্পী ফেরদৌস। হঠাৎ বৃষ্টির জন্য আলোচিত এবং জনপ্রিয় হন শিল্পী। এরপর তিনি বাংলা চলচিত্রের জন্য কি করেছেন, তা ফেরদৌসই ভালো বলতে পারবেন। তবে, টানা ১৫ বছর তিনি বিরামহীন ভাবে চাটুকারিতার কসরত করেছেন। তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ধানমন্ডিতে। আমি যদ্দুর জানি, ফেরদৌস ধানমন্ডিতে থাকেন না। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই আসনে একজন বহিরাগতকে মনোনয়ন দেয়ার তাৎপর্য আমি বুঝতে পারিনি। ধানমন্ডিতে কোন যোগ্য লোক নেই? সাকিব আল হাসানকে নিয়ে একটা উদ্মাদনা আছে। তার একটা ভক্তকূল আছে। কিন্তু ফেরদৌসের বসন্তকাল চলে গেছে বহু আগে। ফেরদৌসকে নিয়ে ধানমন্ডির আসনে কোন উচ্ছ্বাস নেই, তা আমি হলফ করে বলতে পারি। এই সাবেক নায়ক ধানমন্ডির কয়টা রাস্তার নাম বলতে পারবেন? আওয়ামী লীগের কজন কর্মীকে চেনেন? ধানমন্ডি সম্পর্কে তিনি কি জানেন?

এই নির্বাচনে এরকম ‘অতিথি পাখি’দের পৃষ্টপোষকতা দিয়ে আওয়ামী লীগ কি বার্তা দিলো? আদর্শ চুলায় যাক একটু চেষ্টা তদ্বির করলেই আওয়ামী লীগের মতো দলের মনোনয়ন পাওয়া কোন ব্যাপারই না। কিন্তু তারপরও আমি আশাবাদী। ত্যাগী পরীক্ষিত আদর্শবানদের কাছে সব সময়ই পরাজিত হয় সুবিধাবাদী চাটুকাররা। শেষ পর্যন্ত নানক-আযম-নাছিমরাই দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের জন্য লড়বে। বসন্তের কোকিলরা উড়ে যাবে কঠিন সময়ে।

সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক,

পরিপ্রেক্ষিত

সৈয়দ বোরহান কবীর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close