প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়াামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তিকারী নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. হাসানুর রহমান।
সম্পর্কিত খবর
শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাসানুর রহমান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যাকে কটূক্তিকারী কসাই জহিরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগকে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়ে। তার বহিষ্কারের দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। কিন্তু ঘটনার তিন সপ্তাহ পার হলেও জহিরের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তিকারী জহির উদ্দিন দলীয় পদসহ দলের সার্বিক কর্মকান্ত থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোক দিয়েছি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, দাদপুর ইউনিয়নের বারাহীপুর গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র জহির উদ্দিন ওরপে কসাই জহির ২০১১ সালে যুবদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বিভিন্ন দলের লোকজন নিয়ে এলাকায় নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন। এদের দিয়ে এলাকায় হামলা, দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছেন।
পরবর্তীতে ২০২২ সালে তাকে দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলীয় পদবী পেয়ে জহির এলাকায় আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার এসব অপকর্মের কারণে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতি বিরুপ মন্তব্য শুরু করেন।
সাম্প্রতিক, জহির বাহিনীর সদস্য রাসেল ওরফে কালা জহির উদ্দিনের ব্যক্তিগত শত্রু নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুক পোস্ট করেন। এতে রাসেলকে ‘গুপ্তচর’ আখ্যা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন জহির। পরে রাসেল এলাকায় ফিরতে জহিরকে ফোন দিয়ে আকুতি জানান।
তখন জহির বলেন, ‘তোমার জন্য অনেকে ফোন দিয়েছে। আমি কারও কথা শুনি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেও আমি শুনবো না। আমার এলাকায় আমিই প্রধানমন্ত্রী। কাউকে গোনার টাইম নাই।’
গত ১২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার রেকর্ড ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়লে জহিরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা জেলা শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। একই সঙ্গে জহিরের বহিষ্কার দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে জহিরের অশোভনীয় কটূক্তি গণমাধ্যমে প্রচারের কারণে দেশব্যাপী আলোচনায় আসলেও তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেয়নি আওয়ামী লীগ।
জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী বলেন, আমাদের জেলা আওয়ামী লীগের তো পুর্ণাঙ্গ কমিটিই নাই, আমরা কিসের সিদ্ধান্ত নিবো। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগকে এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।