‘বিএনপি মনগড়া তথ্য দিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে’

দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

তিনি বলেন, তথাকথিত গুম, খুন ও মামলার সংখ্যা নিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা ও রাজনৈতিক সমর্থন লাভের আশায় বিএনপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

শনিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানান ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সর্বস্তরের জনগণ ঈদ উৎসব উদযাপন করছে। নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিটি গৃহকোণ পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা। ঠিক সে সময় বিএনপি তথাকথিত ‘গুম-নির্যাতনের’ কাল্পনিক তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মির্জা ফখরুলের দেয়া বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গুম ও হত্যার ঘটনা সবই মিথ্যা এবং দায়েরকৃত মামলার সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট।

ঢালাওভাবে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিক কারণে তথাকথিত নিপীড়ন-নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ বিএনপি নেতাদের সম্পূর্ণ তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতা একজন চিহ্নিত মাদকসেবী। তার বিরদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কোনো প্রকার আইনের ব্যত্যয় ঘটলে সরকার গুরুত্বসহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কিন্তু মির্জা ফখরুল একজন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীর মতো একজন অপরাধীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ‘বিরোধীদলের ওপর সরকারের নির্যাতন’-এর অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, তখন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে মোট ১২২৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ার ও পুলিশ হেফাজতে হত্যা করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যে কোনো মূল্যে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।