• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘প্রিন্সিপালরা জানতে চান, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারব কিনা’

প্রকাশ:  ২৮ জুলাই ২০১৮, ২১:৩০ | আপডেট : ২৮ জুলাই ২০১৮, ২১:৪৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দুই বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। সঙ্গে বি. এড। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতার জন্য ইন্টারভিউ দিতে যেতে হয় তাঁকে। কিন্তু কোথাও তাঁর বিষয় নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা হয় না। জানতে চাওয়া হয়, তিনি সত্যিই মা হতে পারবেন কিনা? কিংবা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন কিনা? কারণ তিনি একজন রূপান্তকামী।

ভারতের শহর কলকাতায় এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু সকলের অলক্ষ্যে।

বছর ত্রিশের হিরন্ময় দে অস্ত্রোপচারের পর এখন সুচিত্র দে নামে পরিচিত। ইংরেজি এবং ভূগোলে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। তার পর বি. এড। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত বঞ্চনা ছাড়া কিছুই জোটেনি।

সুচিত্রা বলেন, ‘এক নামী স্কুলের প্রিন্সিপাল আমায় জিজ্ঞাসা করেছলিলেন, আমি স্বাভাবিক ভাবে মা হতে পারব কিনা। বর্তমানে আমার লিঙ্গ কী, আমি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারব কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। আরও এক স্কুলের মহিলা প্রিন্সিপাল তো রীতিমতো হুমকির সুরে আমায় বলেন, সার্টিফিকেটে নামধাম সব পাল্টে ফেলতে, না হলে আমার চাকরি করা হবে না।

রূপান্তরকামীদের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও কিছই পাল্টায়নি। শিক্ষকরা তো দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়েন। যদি তাঁদের মতো তথাকথিত শিক্ষিত মানুষদের চিন্তাভাবনা এমন হয়, তা হলে বাকিদের কাছ থেকে আর কী আশা করতে পারি!’ আক্ষেপের সুর সুচিত্রার গলায়।

দেশের অন্যতম শক্ষিত রূপান্তরকামী ব্যক্তি তিনি। LGBT ফোরামের সক্রিয় সদস্য। এর বিচার চেয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে চিঠিও লিখেছেন। সুচিত্রা আরও বলেন, ‘বাড়িতে শুধু আমি আর মা থাকি। মায়ের অনেক বয়স হল। বেঁচে থাকার জন্য আমার চাকরির খুব প্রয়োজন। সমাজের সকল স্তরের মানুষ আমাদের যদি এ ভাবেই প্রত্যাখ্যান করে, তা হলে আমরা বাঁচব কী ভাবে?’ জ্বলন্ত প্রশ্ন।

এমন ঘটনা একটা জিনিসই প্রমাণ করে, শুধুমাত্র আদালতের রায় যথেষ্ট নয়। তা পালনের জন্য দৃষ্টিভঙ্গিও গড়া বোধহয় আইনের কর্তব্য।সূত্র: এই সময়

-একে

প্রিন্সিপাল,বুকের দুধ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close