মসজিদে হামলাকে ‘সন্ত্রাস’ বলতে নারাজ ট্রাম্প!
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪৮ জন। বর্বরোচিত এই হামলার সমালোচনায় উত্তাল সারাবিশ্ব, এরমধ্যেই বিতর্কিত টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টুইটে তার শব্দচয়ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। কারণ, এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় (বিশেষ করে যেসব হামলায় মুসলিম কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকে) ‘terrorist’ ‘terror attack’ ‘terrorist attack’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে থাকেন ট্রাম্প। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ক্ষেত্রে– যার হামলাকারী নিজেকে ট্রাম্পের শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একজন সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে– এ ধরনের কোনো শব্দ ব্যবহার করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সম্পর্কিত খবর
হামলার ঘটনায় কোনো মুসলিম জড়িত থাকলে সেই হামলাকে ‘ইসলামিক টেরোরিজম’ বলতেই পছন্দ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীর হামলাকে ‘white supremacist terror’ বলতে নারাজ তিনি। এমনকি হামলায় কে বা কারা জড়িত তাদের আদর্শিক পরিচয় কী- সে বিষয়েও কোনো ইঙ্গিত বা নিন্দা নেই তার টুইটে।
এছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, `49 innocent people have so senselessly died’. এক্ষেত্রেও died (মৃত্যুবরণ) শব্দের ব্যবহার লক্ষণীয়। অন্যান্য হামলার ক্ষেত্রে তিনি killed (নিহত) শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন।
একটি ভয়াবহ ঘটনায় স্বজনদের হারানো নিউজিল্যান্ডবাসীর উদ্দেশে ট্রাম্প best wishes জানিয়েছেন। যদিও কোনো কষ্টের মুহূর্তে কাউকে সমবেদনা জানানোর ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় best wishes শব্দযুগলের ব্যবহার প্রচলিত নয়। তার বদলে sympathy, condolence ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়।
ট্রাম্পের টুইটের প্রথম শব্দগুলো নিয়েও আপত্তি তুলছেন অনেকেই। তার টুইটের জবাবে অনেক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করছেন, ‘মি প্রেসিডেন্ট, warmest sympathy বা (উষ্ণ সমবেদনা!) জিনিসটা আসলে কী?!
/পিবিডি/একে