কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী পিচ্চি মাসুদ গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ডাকাতি ও মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন মাসুদ ওরফে পিচ্চি মাসুদকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বিসমিল্লাহ নগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্বের জের ধরে পিচ্চি মাসুদ মেয়র কাদের মির্জার সহযোগী হিসেবে তার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, স্থানীয় সাংবাদিক প্রশান্ত সুভাষ চন্দ্রসহ একাধিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে পিচ্ছি মাসুদ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই বছর যাবত পিচ্চি মাসুদ প্রকাশ্যে কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ান। ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার ছত্রছায়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠে সে। তবে পিচ্চি মাসুদ বাহিনীর বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা ও এলাকাবাসী। মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজারসহ পুরো এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অস্ত্র ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে আনোয়ার হোসেন মাসুদ ওরফে পিচ্চি মাসুদ বাহিনী। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের কাছে ছিল অধরা সে।
২০২১ সালের ১৩ মে বিকেল ৫টার দিকে পিচ্ছি মাসুদসহ সাত থেকে আটজনের একটি দল অতর্কিতে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকার একটি দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সেখানে অবস্থানরত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের (বাদল) অনুসারীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েঁছিল। পরে ওই গুলি ছোঁড়ার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। অস্ত্রধারী ওই দুই ব্যক্তি ছিলেন আনোয়ার হোসেন ওরফে পিচ্ছি মাসুদ (৩৪)ও সহিদ উল্যাহ ওরফে কেচ্ছা রাসেল (৩৩)। গত দুই মাস আগে কেচ্ছা রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাজ্জাদ হোসেন রোমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ৪টি ডাকাতির মামলা, ৩টি মাদক মামলাসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০মাস ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সহিংসতায় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। দুই পক্ষের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র কাদের মির্জা এক পক্ষে এবং তার তিন ভাগনেসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অপর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পূর্বপশ্চিম/এএন