প্রেমিক রেখে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
বরগুনার তালতলী উপজেলায় প্রেমঘটিত কারণে রুমা (১৬) নামে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নিজ ঘর থেকে রুমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
সুইসাইড নোটে লেখা ছিলো, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বাবা-মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি কাইয়ুমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাঁটি ছিল। শুধু একদিন বাজার থেকে গাড়িতে করে বাড়িতে আসার পথে আমি কাইয়ুমের হাত ধরেছি। এছাড়া আমাদের ভেতরে আর কোনো সম্পর্ক হয়নি। ভালো থেকো বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি’।
রুমার বরগুনার তালতলী উপজেলার শিকারীপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার মেয়ে। লেখাপড়া করতেন তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় সে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
তবে প্রেমিকার আত্মহত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন প্রেমিক কাইয়ুম। তিনি শিকারীপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রুমার সঙ্গে কাইয়ুমের প্রেম চলছিল। তবে বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি দুই পরিবার। সম্পর্ক ভাঙতে ছেলে-মেয়েকে চাপ দিতে থাকেন মা-বাবা। কিন্তু কোনোভাবেই প্রেমিককে ছাড়তে রাজি ছিলেন না রুমা। প্রেমিককেই বিয়ে করতে অনড় থাকেন তিনি।
এদিকে, রুমাকে বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লাগে পরিবারের লোকজন। শনিবার বিকেলে রুমার জন্য পাত্র দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি রুমা। ওইদিনই সুইসাইড নোট লিখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রুমা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ ও একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত রুমার বাবা আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার মেয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কেন করেছে তা আমি জানি না?
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রেমের সর্ম্পকের কারণে রুমা ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে ওই মেয়ের লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নোটে মৃত্যুর কারণ লিখে গেছে।
পূর্বপশ্চিম/এসকে