র্যাগিংয়ের অভিযোগে হাবিপ্রবিতে ৩২ শিক্ষার্থীকে শোকজ
র্যাগ দেওয়ার অভিযোগে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( হাবিপ্রবি ) স্থাপত্য বিভাগের ২০ ব্যাচের ৩২ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শনার নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল শাখা।
গত ৮ মার্চ এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ।
সম্পর্কিত খবর
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে র্যাগিংয়ের সংশ্লিষ্টতা অনুসন্ধানের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিং নির্মূল করতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা র্যাগিংকে একদমই সার্পোট করি না। কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের সংশ্লিষ্টতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং নীতিমালা অনুযায়ী আমরা শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। এ ছাড়াও আরো বেশ কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে । আমরা সে সকল অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদেরকেও কারণ দর্শনার নোটিশ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি । সর্বোপরি আমরা হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করতে চাই। সেলক্ষ্যে সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক আবু তোয়াব মো. শাহ্ রিয়ারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি দিন ক্যাম্পাসে থাকার সুযোগ পায়নি। সুতরাং ২০ ব্যাচের যে সকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠছে আমার দৃষ্টিতে তারাও ক্যাম্পাসে নতুন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, মূলত তারা পরিচিত হতেই ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কাছে যায়। সেখানে ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে। হয়তো কিছু আচরণগত কারণে একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তবে ২০ ব্যাচের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, তারা যথেষ্ট অনুতপ্ত এ ঘটনায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে র্যাগিংকে সমর্থন করি না। অভিযুক্ত ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে অনেক ভালো কাজও করেছে। সম্প্রতি বাংলা বর্ণমালা তৈরি করেছে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে। এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে আলপনা থেকে শুরু করে নানা কাজে তাদের অবদান রয়েছে।
অন্যদিকে স্থাপত্য বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান সিয়াম র্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মতো আমাদের জুনিয়রদের সাথে পরিচিত হতে গিয়েছিলাম। কারণ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমাদের একটি প্রদর্শনী রয়েছে। তাই তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজটি করতে পারলে আমাদের জন্য সহজ হতো।
তবে স্থাপত্য বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কারো সাথেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে স্থাপত্যে অনুবন্ধ, স্থাপত্যে আলেখ্য ও স্থাপত্যে অনুরণন প্রদর্শনীগুলো হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রশংসা কুড়িয়েছে বিগত বছরগুলিতে।
পূর্বপশ্চিম/এমএম/এনএন