আমরা আজ জাপানের সমপর্যায়ে থাকতাম: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, জাতির পিতা স্বপ্ন দেখলেন। এই বায়তুল আমানে আওয়ামী লীগের জন্ম। নাহলে আজকে আমাদের এখানে মিটিং করতে হতো না। আমরা আজ জাপানের সমপর্যায়ে থাকতাম।
রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল অ্যামিউজমেন্ট পার্কে (নম পার্ক) শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
শামীম ওসমান বলেন, আজকে আমরা এখানে আছি আমাদের কারো হাত নেই কারো পা নেই। মসজিদে ফুটপাতে ঘুমিয়ে যৌবন কাটিয়েছি। এটাই আমাদের জীবন। শেখ হাসিনা ৩১ বছরে এসে দেশের হাল ধরলেন। তারা আজ স্বপ্ন দেখছেন এই দেশের জন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করা৷ তবে ষড়যন্ত্র প্রচণ্ডভাবে শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি জানি না কয়দিন বাঁচব। আমি জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দিচ্ছি। আমি কাগজ দিয়ে এসেছে মন্ত্রণালয়ে। আমি নারায়ণগঞ্জটাকে নিজের মেয়ের মত দেখি। লিংক রোড হলে এটা দেশের সবচেয়ে সুন্দর সড়ক হবে। ডিএনডির প্রজেক্টের জন্য বললাম প্রয়োজনে পদত্যাগ করব। শীতলক্ষ্যার ওপর দিয়ে সেতু হচ্ছে। এখানে জেলা স্টেডিয়াম হচ্ছে। কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয়ে ওসমানী স্টেডিয়ামটাকে আরও সুন্দর করে তেলা হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের পলকের মত মানুষ অনেক দরকার৷ আমরা তাকে নিয়ে অনেক গর্বিত। এ নারায়ণগঞ্জে জাতির পিতার কন্যা বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিয়েছে, এটা হয়েছে। রেহানা আপার সামনে আমার ইদানিং ভয় হয়। তিনি আজও কাঁদেননি, মাঝেমধ্যে বলি আপা একটু কাঁদেন না। তিনি বলেন, কান্না আসে না৷ তার নামে মেডিক্যাল কলেজ করতে চেয়েছিলাম। পরে তিনি না করে দিলেন। এখানেই শহীদ শেখ কামালের নামে আইটি ইনস্টিটিউট হবে। এখানে তিনটি স্কুলও হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ-টু-মুন্সিগঞ্জের রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। সেখানে আমরা ফ্লাইওভার করছি। এ কাজগুলো হয়ে গেলে প্রাচ্যের ড্যান্ডি আবার তার রূপ ফিরে পাবে। আমি এক দেড় হাজার লোক নিয়ে এটা করতে চাইনি। আমি চেয়েছিলেম কমপক্ষে যেন ৫০ হাজার এক লাখ লোক নিয়ে করি। যে প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সেখানে এত কম লোক নিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না। তবে যেদিন এই প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন হবে সেদিন আমরা পাঁচ লাখ লোক নিয়ে এটা উদ্বোধন করব। একটা পক্ষ চাচ্ছে এটা এমন জায়গায় নিতে যেখানে গেলে কাজে আসবে না। এখানে থাকলে পুরো পূর্ব বাংলা সুবিধা পাবে। অনেকে এগুলোকে অলিগলিতে নিতে চাচ্ছেন। সেখানে জায়গার দাম তিন/চারগুণ করে কীভাবে কী যেন হয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ নন। তিনি বাংলাদেশের সম্পদ। আমি মরে গেলে কিছু হবে না। শেখ হাসিনা বাঁচলে বাংলাদেশের রাজনীতি বদলে যাবে। রাজনীতিতে এখন দরকার অর্থনীতি বিল্ডআপ করা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম