• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

যে ঈদগাহে মিশে আছে শহীদের রক্ত

প্রকাশ:  ০৩ মে ২০২২, ১৬:২৮
অনলাইন ডেস্ক

প্রায় ৩০০ বছর পুরোনো সিলেটের ঐতিহাসিক শাহি ঈদগাহ। প্রতি বছরের মতো এবারও নগরীর প্রধান ঈদ জামাত সেখানে হয়েছে। তাতে অংশ নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. এ কে আবুল মোমেন।

কেবল ঈদ জামাত নয়, শাহি ঈদগাহ পরিচিত এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কারণেও।

জানা যায়, এই ঈদগাহ থেকেই ব্রিটিশের বিরুদ্ধে অবিভক্ত ভারতবর্ষে প্রথমদিককার বিদ্রোহের সূচনা হয়। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ১৭৮২ সালে এই ঈদগাহেই শহীদ হন দুই ভাই। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহেরও ৭৫ বছর আগের ঘটনা এটি।

ঐতিহাসিকদের তথ্যমতে, এই ঈদগাহে মহাত্মা গান্ধী, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের মতো নেতারা এসে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সমাবেশ করে গেছেন।

অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, সিলেটের শাহি ঈদগাহটি নির্মিত হয় ১৭০০ সালের প্রথম দশকে। সিলেটের তৎকালীন ফৌজদার ফরহাদ খাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটি নির্মিত হয়।

প্রায় ৩০০ বছর আগে শহরের যে জায়গায় ঈদগাহটি নির্মিত হয়, সেই এলাকাটিও এখন শাহি ঈদগাহ নামে পরিচিত। এখানে একসঙ্গে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

ধর্মীয় ও ইতিহাসের পাশাপাশি অপূর্ব নিমার্ণশৈলীর কারণেও সিলেটের শাহি ঈদগাহ অনন্য। এর একপাশে রয়েছে টিলাভূমি। কারুকার্যখচিত ২২টি বড় সিঁড়ি পেরিয়ে টিলায় উঠতে হয়।

টিলার ওপরে রয়েছে কারুকার্য করা ১৫টি গম্বুজ। একপাশে বিশাল পুকুর। ঈদগাহের প্রাচীর সীমানার চারদিকে রয়েছে ছোট-বড় ১০টি গেট।

২০১৫ সালে ঈদগাহ কমপ্লেক্সে নির্মাণ করা হয় ১৮০ ফুট উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন একটি মিনার। ঈদের দিন ছাড়াও অন্য দিনগুলোতে প্রচুর মানুষ এই ঈদগাহে ঘুরতে আসেন।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

ঈদগাহ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close