• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

পটুয়াখালীতে জরিমানা করায় ফার্মেসি মালিকদের ধর্মঘট

প্রকাশ:  ১৯ অক্টোবর ২০২২, ২২:১৭
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীতে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ডিলিং লাইসেন্স না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে ফার্মেসি মালিক সমিতি। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালের রোগীরা ওষুধ কিনতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে পটুয়াখালী সদর রোডে অবস্থিত লাজ ফার্মা ফার্মেসি ও পটুয়াখালী মেডিকেল হল ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়।

পটুয়াখালী ড্রাগ অ্যান্ড ক্যামিস্ট মালিক সমিতির সভাপতি মো. রাহাত হোসেন এবং পটুয়াখালী মেডিকেল হল মালিক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিলিং লাইসেন্স নামে এক ধরনের লাইসেন্স দেখতে চান। দেখাতে না পারায় লাজ ফার্মা ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকা ও পটুয়াখালী মেডিকেল হল ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এতে পটুয়াখালী শহরের সকল ওষুধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

পটুয়াখালী ড্রাগ অ্যান্ড ক্যামিস্ট মালিক সমিতির সভাপতি মো. রাহাত হোসেন বলেন, ডিলিং লাইসেন্স নামে কোনো লাইসেন্স আছে তা আমাদের জানা নেই। সকল ওষুধ ব্যবসায়ীর একই মত। এ ধরনের কোনো লাইসেন্সের কথা তারা কোনো দিন শোনেননি। ব্যবসায়ীরা জানেন না- এমন ধরনের কাগজের জন্য জরিমানা করা অমানবিক। এটা এক ধরনের অত্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। এরূপ অত্যাচার ও জুলুমের সুষ্ঠু তদন্তসহ আদায়কৃত জারিমানার টাকা ফেরতের দাবিতে ওষুধ ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

ওষুধ কিনতে আসা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে আমার মা অসুস্থ। তার জন্য ওষুধ কিনতে এসেছিলাম। হঠাৎ করে শুনি ওষুধের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। আমি কয়েকটি দোকানের কাছে গিয়েছিলাম তারা ওষুধ বিক্রি করতে রাজি হয়নি। দোকানের সামনে অপেক্ষা করতেছি কখন দোকান খুলবে তারপরে ওষুধ কিনব।

হঠাৎ করে ওষুধের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অসুস্থ রোগীর স্বজনরা। তারা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালের জরুরি ওষুধ পেতে ছোটাছুটি করছেন রোগীর স্বজনরা।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুম মুনীরা কায়ছান বলেন, পণ্যসামগ্রী আইন ১৯৫৬ অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর আমি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আরও কোনো তথ্যের জন্য আপনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. এসএম কবির হাসান বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ এখন পর্যন্ত অবহিত করেনি। ড্রাগ লাইসেন্সের অথোরিটি আমি, কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত আমার কাছ থেকে লাইসেন্স নেয়নি। অধিদপ্তর কীভাবে তাদেরকে লাইসেন্স দেয় সেটা আমি নিজেও জানি না। কয়েকবার চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

পটুয়াখালী,জরিমানা,ফার্মেসি মালিক,ধর্মঘট

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close