বাউফলে চুরি বন্ধে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট
পটুয়াখালীর বাউফলে চুরি বন্ধে এবং চিহ্নিত চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করেছে ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া স্কুল বাজারের ব্যবসায়ীরা এ ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করে।
সম্পর্কিত খবর
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে ধুলিয়া বাজারে চারটি চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়। সর্বশেষ শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ধূলিয়া বাজারে এনায়েত হোসেনের মুদি দোকানে চুরির চেষ্টা চালায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে চোর চক্রের সদস্যরা। পরে তল্লাশি চালিয়ে মো. কাদের (৩৫) নামে এক ব্যাক্তির নিকট থেকে শাবল ও বস্তা উদ্ধার করা করে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীয়েদের ধারণা সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত চুরির ঘটনায় আটক হওয়া কাদের ও তার লোকজন জড়িত। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্টদেরকে জানানোর পরেও এই চোর চক্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
মো. এনায়েত হোসেন নামে ওই বাজারের এক মুদি ব্যবসায়ী জানান, চরি বেড়ে যাওয়ায় চোর ধরতে শুক্রবার রাতে আমার ছেলে রুপকসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বাজারে পাহাড়া বসাই। রাত দেড়টার দিকে দুই চোর আমার দোকান চুরি করার চেষ্টা করেন। পরে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর চক্রের সদস্যরা সটকে পড়ে। পরে ঘুরচাকাঠি গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. কাদেরকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে তার কাছ থেকে বস্তা ও শাবল উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি গ্রামের মো. ইমন নামে অপর এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে ইউয়িন পরিষদে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। এনিয়েও শুরু হয় তুলকালাম কান্ড। ধুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক এক চেয়ারম্যানের লোকজন ইমনকে পরিষদ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় ব্যবসায়ীদেরকে মাধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মু. হুমায়ন কবির বলেন, আমি ঢাকাতে অবস্থান করছি। ব্যবসায়ীরা আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। আমি তাদেরকে থানায় যেতে বলেছি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল- মামুন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। চুরির ঘটনায় জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম