• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বরিশাল-ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ

প্রকাশ:  ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৩০
বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশাল-ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিকে পড়েছেন যাত্রীরা। হঠাৎ লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনগুলো সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই নৌযানগুলো বন্ধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ভোলার উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ভোলা থেকেও কোনো লঞ্চ ছেড়ে আসেনি। একইভাবে বরিশাল নৌবন্দরসংলগ্ন ডিসি ঘাট থেকেও ভোলাগামী কোনো স্পিডবোট চলছে না।

এদিকে ৪ থেকে ৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাসমালিকদের সংগঠন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। নির্দিষ্ট ওই দুইদিন সব ধরনের তিন চাকার যানেরও ধর্মঘট ডেকেছে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজিচালক–শ্রমিক ইউনিয়ন।

বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ভোলায় আওলাদ নামের একটি লঞ্চে গতকাল বুধবার হামলার ঘটনা ঘটে। ওই লঞ্চের কর্মচারীদের মারধর ও লঞ্চে ভাঙচুর করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে শুধু ভোলা রুটে লঞ্চ চলছে না। তবে মেহেন্দীগঞ্জ ও মজুচৌধুরীরহাট রুটের লঞ্চগুলো যথারীতি চলাচল করছে।

ভোলার স্পিডবোট ঘাটের দায়িত্বে থাকা মঞ্জুরুল আলম বলেন, ধর্মঘট ডাকা হয়েছে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। কী কারণে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।

তবে বরিশাল স্পিডবোট ঘাটের লাইন ইনচার্জ মো. লিটন মিয়া বলেন, বরিশাল থেকে স্পিডবোট চলাচলে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। ভোলা থেকে বন্ধ করা হয়েছে, তাই এ রুটে বোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ভোলা থেকে বোট বন্ধের কোনো কারণ তাদের জানানো হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

জানা যায়, আজ সকাল থেকে বরিশাল নগরের ডিসি ঘাটের মতো সদর উপজেলার লাহারহাট লঞ্চঘাট থেকেও ভোলাগামী স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে সদর উপজেলার তালতলী থেকে মেহেন্দীগঞ্জ রুটের স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কোনো ঘোষণা ছাড়াই নৌপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী। আসিফ হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, দুইদিন আগে তিনি পারিবারিক কাজে ভোলা থেকে বরিশালে এসেছিলেন। আজ সকালে ভোলায় ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি লঞ্চঘাটে গিয়ে জানতে পারেন, ভোলায় কোনো লঞ্চ যাচ্ছে না। এরপর স্পিডবোট ঘাটে গিয়ে দেখেন সেখানেও ধর্মঘট চলছে।

বরিশাল বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, আমাদের শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনো ধরনের ধর্মঘট আমরা ডাকিনি। গতকাল ভোলায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন একটি লঞ্চে হামলা ও স্টাফদের মারধর করেন। এ জন্য দুই প্রান্ত থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান বলেন, বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করার জন্য ক্ষমতাসীন দল এমন কোনো পন্থা নেই, যা অবলম্বন করেনি। অন্য সব বিভাগের চেয়ে এই বিভাগেরটা বানচালে যেন তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাস, তিন চাকার যান, লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ করেছে। আবাসিক হোটেলে তল্লাশি, রাজপথে মহড়া, হুমকি, মারধর, হামলা—সবকিছুই সমানতালে চালাচ্ছে। এটা সমাবেশের আগের দুই দিনে আরো বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

তিনি বলেন, কিন্তু কোনো কিছুতেই বরিশালের গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। প্রয়োজনে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, ট্রলার ও নৌকায় চেপে আসবেন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

বন্ধ,বরিশাল-ভোলা,রুট,লঞ্চ,স্পিডবোট

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close