• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শিক্ষিকাকে মারপিট করা যুবলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশ:  ২৭ আগস্ট ২০২৩, ২০:৫০
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকাকে মারপিট করার অভিযোগ গ্রেফতার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পৌর যুবলীগ। দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপরাধে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শাতে নোটিশে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ রোববার (২৭ আগস্ট) পৌর যুবলীগের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২৩ আগষ্ট দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ছালিমা বেগমকে লাঞ্চিতর ঘটনায় আপনাকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা যুবলীগের সংগঠন বিরোধী। যুবলীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা এ কাজ করতে পারেননা। মিজানুর রহমান মনিরামপুর পৌরশহরের দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পৌর শাখার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।

এদিকে শিক্ষিকাকে মারপিটের ঘটনায় মামলায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা পুলিশ মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে হাজির করে পুলিশ। বর্তমানে মিজানুর রহমান কারাগারে আছেন। আজ রোববার তাঁর জামিনের শুনানী হওয়ার কথা ছিল। আদালতে নির্ধারিত কক্ষে বিচারক না বসায় আগামী মঙ্গরবার পুনরায় জামিন শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মনিরামপুর থানা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। গত মঙ্গলবার দুষ্টামি করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার ওই ছাত্রকে শাসন করেন। এরপর রাকিবুল বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে। তখন বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষিকা ছালিমা আক্তারকে মারপিট করেন রাকিবুলের বাবা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যান মিজানুর। তখন অন্য শিক্ষকরা এসে মিজানকে থামান।

মারপিটের শিকার শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার বলেন, রাকিবুলের বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশে। শাসন করার ঘটনা সে বাড়িতে গিয়ে নালিশ করে। তখন ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ বাড়ির লোকজন স্কুলে ছুটে আসে। এ সময় আমি একটি কক্ষে দায়িত্বরত ছিলাম। মিজান এসে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। পরে চুল ধরে টেনে মাঠে নিয়ে যায়।

শিক্ষিকা বলেন, মিজানের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আমি মনিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। পরে এসে থানায় মামলা দিয়েছি।

দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেব আলী বলেন, স্কুলের বেচিং (হাত মুখ ধৌত করার কাজে ব্যবহৃত) ধরায় রাকিবুলকে 'বাপ' তুলে কথা বলেন শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার। এরপর রাকিবুল বাড়ি গিয়ে বিষয়টি জানালে তার বাবা এসে শিক্ষিকাকে মারপিট করেন। শিক্ষিকা ও মিজানুরের বাড়ি পাশাপাশি।

যুবলীগ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close