রজনীগন্ধার খোঁজ মেলেনি, পাঁচ দিনে উদ্ধার চার ট্রাক
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরির খোঁজ মেলেনি। পাঁচ দিন আগে ঘটা এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে চার ট্রাক। বাকিগুলো পাওয়া যায়নি।
নয়টি যানবাহনসহ ওই ফেরিটি গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে ডুবে যায়।
সম্পর্কিত খবর
মানিকগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. আবদুল হামিদ বলেন, “বুধবার একটি ট্রাক ও একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হলেও শুক্র ও শনিবার কোনো যানবাহন উদ্ধার করা হয়নি।”
বাকি পাঁচটি ট্রাক উদ্ধারে ডুবুরিরা কাজ করছে, যোগ করেন তিনি।
রবিবার সকাল ১১টায় নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
আরিচায় বিআইডব্লিউটিসির আঞ্চলিক উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নওয়াজ বলেন, “উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পঞ্চম দিনের মতো কাজ শুরু করেছে। আশা করছি প্রত্যয় ফেরিটি দৃশ্যমান করা যাবে অচিরেই। ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। ডুবে যাওয়া ফেরিটি ৪০-৫০ ফুট পানির নিচে। ফেরির একপাশে তারের দড়ি রাখা হয়েছে। অন্য দিকটি আটকে থাকবে।”
এদিকে রজনীগন্ধা উদ্ধারে জন্য আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঝিনাই-১ যাচ্ছিল। এতে নদীতে ফেরি ও যানবাহনের অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
ঝিনাই-১ কখন আসবে তা রবিবার সকাল পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেননি নওয়াজ।
উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম ফেরিটি উদ্ধার করতে পারেনি।
নৌবাহিনীর ডাইভিং টিমের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন বলেন, “নৌবাহিনীর ডুবুরি দল, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ৫০ জনের বেশি ডুবুরি কাজ করছেন। ফেরির নিচের দিকে একপাশে ওভারহেড ক্রেনের সাথে একটি বড় তারের দড়ি সংযুক্ত করা হয়। অন্যদিকে তারের দড়ি দিয়ে ফেরি ভাসানোর চেষ্টা করা হবে।”
“পানি খুব ঠান্ডা ও কুয়াশাচ্ছন্ন। পানিতে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি,” তিনি যোগ করেন।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের কাছে নয়টি গাড়ি নিয়ে রজনীগন্ধা-৭ নামের ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরি ডুবির কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএর সমন্বয়ে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ হন রজনীগন্ধার সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবির। তিনি ডুবে যাওয়া ফেরিতে আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করছেন বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা।