• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সবুজ সনদ পেল আরও দুই পোশাক কারখানা

প্রকাশ:  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

দেশের আরও দুই পোশাক কারখানা আন্তর্জাতিক এলইইডি সনদ পেয়েছে। এ নিয়ে দেশে এলইইডি সনদ পাওয়া পোশাক কারখানার সংখ্যা ২০৯-এ উন্নীত হলো, যার মধ্যে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে ৭৯টি কারখানা।

পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) সনদ দিয়ে থাকে।

ইউএসজিবিসি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল। পৃথিবীজুড়ে এটি পরিবেশবান্ধব ভবন ও কারখানা নির্মাণে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকে। এমনকি পরিবেশবান্ধব কারখানা বা স্থাপনা তৈরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানদণ্ডও রয়েছে তাদের।

সংস্থাটির দেওয়া সনদ এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিশ্বের বড় বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এ সংস্থার সনদকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে। এ জন্য ইউএসজিবিসির সনদকে এ দেশের শিল্প উদ্যোক্তারাও বেশ গুরুত্ব দেন।

ইউএসজিবিসির তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা সব কারখানা এলইইডি প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। বিভিন্ন মানদণ্ডে ১১০ নম্বরের মধ্যে ৮০ বা তার বেশি নম্বর পায়, এমন কারখানাকে এ সনদ দেওয়া হয়। এলইইডি -এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হচ্ছে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন।

সনদটি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন মানদণ্ডে নির্ধারিত মান রক্ষা করতে হয়। নির্ধারিত মান বজায় রেখে নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও এ সনদের জন্য আবেদন করতে পারে কারখানাগুলো।

বাংলাদেশের কারখানা হিসেবে নতুন সনদ পাওয়া কারখানা দুটি হলো- টাঙ্গাইলের কমফিট ইকো ভিলে লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জের ফকির ইকো নিটওয়্যারস লিমিটেড।

এরমধ্যে কমফিট ইকো ভিলে লিমিটেড ইউএসজিবিসি থেকে এলইইডি নতুন কারখানার মানদণ্ডে ১১০ এর মধ্যে ৮৫ নম্বর পেয়ে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে।

আর ফকির ইকো নিটওয়্যারস লিমিটেড ৮৫ নম্বর পেয়ে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে।

পরিবেশবান্ধব কারখানার দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সবার আগে। বিশ্বের এক নম্বর বা শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানাও এখন বাংলাদেশে।

দেশে বর্তমানে প্লাটিনাম সনদ পাওয়া কারখানা ৭৯টি, গোল্ড সনদ পাওয়া কারখানা ১১৬টিসহ সবুজ সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ২০৯টি।

বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৪টি এখন বাংলাদেশে। এরমধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ১০টির মধ্যে নয়টি, শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে।

বর্তমানে ইউএসজিবিসির সনদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৫৫০টি কারখানা।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্প কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার মানদণ্ডের জন্য রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।”

“মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশটি শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে।”

“গত কয়েক বছরে মহামারী, বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে খুচরা শিল্প এবং ভোক্তা ব্যয়কে প্রভাবিত করছে। এরপরও শিল্পটি এগিয়ে যাচ্ছে।”

ফারুক হাসান বলেন, “সবুজ শিল্পায়নের বিপ্লবে এই ধরনের অর্জন টেকসইতার প্রতি আপসহীন অবস্থানের একটি প্রমাণ।”

তিনি বলেন, “একটি কারখানার নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ একটি পয়েন্ট অর্জন করে। অর্জিত প্রতিটি পয়েন্ট আমাদের গ্রহ পৃথিবীর প্রতি অনন্য অবদানের প্রমাণ।”

গার্মেন্টস,অর্থনীতি,পোশাক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close