‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করলে আইনটি সমৃদ্ধ হতো’
ইসি গঠন আইনটি নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের সাথে আলোচনা করলে আরো সমৃদ্ধ হতো বলে মনে করছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্পর্কিত খবর
পীর ফজলুর রহমান বলেন, এই আইনের বিষয়ে মানুষের কৌতূহল রয়েছে। সকলে এটা নিয়ে কথা বলছেন। এই আইনটি নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের সাথে আলোচনা করলে আরো সমৃদ্ধ হতো। এই আইনে বিগত দুটি কমিশনকে যে হেফাজত দেওয়া হয়েছে এটার দরকার ছিল না।
এখানে তত্ত্বাধবায়ক সরকার আনার কথা বলে বিএনপি তাদের পূর্বের বক্তব্য অনুযায়ী ‘পাগল আর কোনো শিশু’কে আনতে চান সেটা বুঝতে পারছেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। সেখানে বিলটি তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নির্বাচন কমিশন গঠন বিলটি বিবেচনার জন্য প্রস্তাব করলে স্পিকার তা অনুমোদন দেন। পরে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি শুরু করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্যরা এর আগে বিলের ওপর এসব প্রস্তাব দেন।
জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো পাসের সময় জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা সার্চ কমিটিতে সংসদের প্রতিনিধিত্ব দাবি করেন। বিলটির নানা দিকের সমালোচনাও করেন তারা।
পরে বিলটি পাস হয়। বিলটিতে এখন রাষ্ট্রপতি সই করবেন। এর পর গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশে।
গত রোববার বিলটি সংসদে উত্থাপন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার দুটি পরিবর্তনের সুপারিশসহ প্রতিবেদন সংসদে তোলেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।
পিপি/জেআর