• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শুভ জন্মদিন, আগুনের ফুল শিরীন আখতার

প্রকাশ:  ১২ এপ্রিল ২০২২, ১৫:২৭ | আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১৬:২২
জিয়াউল হক মুক্তা

আজ ১২ এপ্রিল জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের জন্মদিন। ভীষণ এক মহামারীকাল পরিক্রমায় তাঁর জীবন আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়—কখনও থেমে যেতে নেই। চিরন্তন সংগ্রাম নিরন্তর, সংগ্রাম জীবনভর— এই তাঁর জীবনের শিক্ষা অন্যদের জন্য।

কিশোরী শিরীন আখতার পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগে যোগদান করেন; শিঘ্রই তিনি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে সক্রিয় গোপন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস’-এর একজন সক্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। সে সময় সমাজে প্রতিষ্ঠিত একটি পরিবারের একজন ‘মেয়ে-সদস্য’ হিসেবে প্রথমত রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত ও দ্বিতীয়ত স্বাধীনতা অর্জনের গোপন প্রক্রিয়ার অংশীদার হবার সিদ্ধান্ত নেয়া খুব সহজ ব্যাপার ছিলনা— আজকের বাংলাদেশের প্রথিতযশা ও প্রতিষ্ঠিত নারীদের প্রায় কেউই সে সাহস প্রদর্শন করতে পারেননি।

১৯৭১ সালের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি আজিমপুরের দুঃসাহসী নগর-গেরিলা গ্রুপ সবুজ-সজীব গ্রুপের সদস্য হিসেবে ভুমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে সক্রিয় হয়ে ওঠে আজিমপুর কলোনির পিচ্চি পিচ্চি মেয়েদের দল— যারা আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছিল আপোষকামী ও দালাল সরকারি কর্মকতাদের বুকে। রোমাঞ্চোপন্যাস ছাপিয়ে যায় সেসব কাহিনী।

স্বাধীনতার পর সে ধারাবাহিকতায় তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রপন্থী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১৯৭৪ সালে জাসদ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ হলে সক্রিয় সকল নেতাদের মতো তাঁকেও আত্মগোপনে গিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়; দল এ সময় বিপ্লবী গণবাহিনী গড়ে তোলে। এসময় তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল দলের অভ্যন্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থাটি সক্রিয় রাখা— বিশেষত উত্তরবঙ্গে— হ্যাঁ, মনে রাখা দরকার সেটা টেলিফোন বা মোবাইল ফোনের যুগ ছিল না, ভালো সড়ক যোগাযোগেরও না।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ১৫ দিন পর ১৯৭৫ সালের ৩০ আগস্ট খোন্দকার মুশতাকের শাসনামলে তিনি তার বেইজ-এলাকা রংপুর থেকে সশস্ত্র অবস্থায় গ্রেফতার হন ও অমানুষিক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হন। সেবছর ২৫ অক্টোবর তাঁকে ঢাকায় এনে গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে রাখা হয় এক সপ্তাহ ও ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতার জেল-হত্যাকাণ্ডের পরপর তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। জিয়ার সামরিক আদালতের তথাকথিত বিচারের রায়ে তাকে দুবছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। ১৯৭৭ সালের ১৩ জুলাই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৭৯ সালে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন ডাকসুর ছাত্রী মিলনায়তন সম্পাদক পদে। ১৯৮২ সালে সামরিক জান্তা এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন ও স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সামরিক-স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সূচিত এ মধ্য-ফেব্রুয়ারির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নতুনতর গতি ও মাত্রা দেন।

১৯৮৬ সালে ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেবার পর ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয় শ্রমিক জোটে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন ও নেতৃত্ব দেন, সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শেষদিকে তিনি তাঁর ছাত্র ও শ্রমিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর বাবার বাসার নীচতলার ছোট একটি কক্ষে গড়ে তোলেন বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন ‘কর্মজীবী নারী’। তাঁর এ উদ্যোগ বাংলাদেশের নারী আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনের দুটো প্রধান নেতিবাচক প্রবণতাকে ছিন্নভিন্ন-তছনছ করে দেয়; ও পরে যুগপোযোগী করে তোলে।

প্রথমত, বাংলাদেশের নারী আন্দোলন তখনও পর্যন্ত ছিল এলিট ও মধ্যবিত্তের অ্যাজেন্ডায় ফ্যাঁচফ্যাঁচে— ‘পিতার সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার চাই’ জাতীয় ইস্যুতে পরিপূর্ণ। তিনি সামনে টেনে আনলেন সমাজ বিকাশের এ পর্যায়ে সর্বহারা নারীর ইস্যু— যে নারীর পিতার সম্পত্তিই নেই কিংবা যে নারী নিজেই সর্বহারা, শ্রম ছাড়া যার বিকোবার কিছু নেই— তাদের ইস্যু। বিকাশমান ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের নারীর ইস্যুর পাশাপাশি তিনি সামনে টেনে আনলেন সার্ভিস সেক্টরের নারীর ইস্যু; শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী নারীর সমমজুরি ও সমঅধিকারের ইস্যু। পরিবারে-কর্মক্ষেত্রে-সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নিপীড়নের ইস্যুটিতেও তিনি ব্যাপকভাবে আলোকপাত করেন। তাঁর এসব বহুমাত্রিক উদ্যোগ পর্যায়ক্রমে দেশের সকল নারী সংগঠনকে বাধ্য করে তাদের নিজ নিজ অ্যাজেন্ডা পরিবর্তন করতে, নয়তো বিলুপ্ত হতে।

দ্বিতীয়ত, ডান-বাম নির্বিশেষ বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রমিক নেতৃত্ব নারী শ্রমিকের বিশেষ অধিকারগুলোর প্রতি চরম নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করতেন— অপ্রকাশ্যে হয়তো এখনও অনেকেই তাই করেন। নারী শ্রমিকের বিশেষ অধিকারের কথা— বিশেষত সমকাজে সমমজুরি, প্রজনন স্বাস্থ্য, মাতৃত্বকালীন ছুটি, শিশুযত্নকেন্দ্র ইত্যাদি— সামনে আনলেই এ নেতৃত্বের সবাই-সমস্বরে ঘেউ ঘেউ করে উঠতেন কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে যে শোষিত শ্রমিক তো শ্রমিকই তার আবার নারী-পুরুষ কী? হিমালয়সম এসব নেতৃত্বকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন অলমোস্ট একা। স্থানীয়-জাতীয়-আন্তর্জাতিক পরিসরে তিনি এসব নিয়ে কাজ করেছেন নিরলস। এবং এরই মধ্যে গত তিন দশকে তিনি এগুলোর বেশির ভাগের জন্য আইনগত স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। সকল শ্রমিক সংগঠনে নারী সেল গঠনের তাঁর যে প্রস্তাবনা, তাও অর্জিত হয়েছে।

খুব সংক্ষেপে বললে— তিনি নারী আন্দোলনকে পুষ্ট করেছেন শ্রমিকের অ্যাজোন্ডায়, আর শ্রমিক আন্দোলনকে পুষ্ট করেছেন নারীর অ্যাজেন্ডায়। এটা বললে বাড়াবাড়ি হবে না মোটেই যে এদেশে এ রকম পারস্পরিক-মাত্রায় আর কেউ অবদান রাখতে পারেননি। হ্যাঁ, পরে অন্যরাও কেউ কেউ এসব করেছেন, কিন্তু শিরীন আখতার হচ্ছেন পাইওনিয়ার— ভ্যানগার্ড। বাংলাদেশে তাঁর ছোট-বড় আর সকল নারী-নেত্রী এসব বিষয়ে তাঁর অনুগামী ও অনুসারী।

১৯৯০ পরবর্তীকালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে এবং আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও জাসদ সভাপতিমন্ডলির সদস্য কাজী আরেফ আহমেদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে পরিচালিত যুদ্ধাপরাধ-বিচার আন্দোলনকে গতি দিতে শিরীন আখতার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।

শ্রমিক ও নারী আন্দোলনে তিনি আরও অনেক ভূমিকাই রেখেছেন— বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর চাপিয়ে দেয়া কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচির বিশিল্পায়ন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। নতুন শ্রম আইন অর্জন করেছেন। পোশাক শিল্পের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কাজ করেছেন। হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সচেতনতা, আইন, সংগঠন ও নেতৃত্ব বিষয়ে। দেশের বৃহত্তম শ্রমখাত কৃষি শ্রমিকদের আইনগত স্বীকৃতি অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দিনাজপুরে ইয়াসমীন ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে রাজধানীতে সামগ্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে নারী সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করায় ভূমিকা রেখেছেন; বিচার নিশ্চিত করেছেন..... ইত্যাদি।

কর্মজীবী নারীর সভাপতি থাকার সময় তিনি জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি হন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাংগঠনিক কাঠামোয় যোগদান করেন। কিছুটা দ্বিধা ও লজ্জা লাগলেও একথা স্বীকার করা উচিত যে অপরাপর সকল ডান-বাম দলের মতোই জাসদের অভ্যন্তরেও পিতৃতান্ত্রিক-পুরুষতান্ত্রিক-পুঁজিতান্ত্রিক অধঃস্তনতার সংস্কৃতি কিছুটা বিরাজমান। সে অধঃস্তনতার সংস্কৃতিকে মোকাবিলা করেই শিরীন আখতার দলের জাতীয় কাউন্সিলে বিপুল ভোটে জাসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাসদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ১৪ দলের যুদ্ধাপরাধ-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধ নবতর আন্দোলনের সূচনা করছেন। সংগঠনের অভ্যন্তরে আদর্শবাদের চর্চায় গুরুত্ব দিচ্ছেন।

শিরীন আখতার বয়সে আমার আম্মার সমান; কিন্তু তাঁর তারুণ্য বয়সীতরুণদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এখনও তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেন। রাজনীতির জন্য শ্রম-সময়-মেধা দিতে গিয়ে তিনি তাঁর একমাত্র ছেলেকে ব্রেস্টফিড করাতে পারেননি— ঘটনাচক্রে তাঁর ছেলের এ অভিমানের কথা জেনেছি— তাঁর মাতৃহৃদয়ে এ বিষয়ে চিনচিনে একটি ব্যথাও রয়েছে।

তবে তাঁর জীবনের এ ঘটনাটির একটি মতবাদিক দিক রয়েছে— নারীকে অধঃস্তন ও গৃহবন্দী করার যুক্তি নির্মাণ করতে পিতৃতান্ত্রিক-পুরুষতান্ত্রিক-পুঁজিতান্ত্রিক মতাদর্শ ‘মা’ ও ‘মাতৃত্ব’ একাকার করে ফেলে । মা শিশুর জন্ম দেন, এর জন্য জরায়ুর প্রয়োজন হয়; কিন্তু লালনপালনের জন্য জরায়ুর প্রয়োজন হয় না, তা যে কেউ করতে পারে; মাতৃত্বের সীমাবদ্ধতা ‘মা’র গুরুত্ব বা মহত্বকে খাটো করে না; সকল মা’ই মহিয়সী। তাঁর ছেলে এখন একজন চিকিৎসক।

শিরীন আখতারের স্বামী মনিরুল ইসলাম, ষাটের দশক থেকে মার্শাল মনি নামে পরিচিত— ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস সংগঠিত ও সক্রিয় থাকলেও একে আদর্শবাদের ভিত্তিতে এক নতুন গুণগত মানে উত্তীর্ণ করেন মনিরুল ইসলাম— যদিও তাঁর নিভৃতচারীতার জন্য তাঁকে বর্তমানকালের লোকজন খুব একটা চেনেন না। জনশ্রুতি আছে— বঙ্গবন্ধু একবার সিরাজুল আলম খানকে বলেছিলেন, কীরে, তোর মার্শাল মনিকে তো আমাকে দেখালি না—জানিনা তাঁর সাথে তাঁর দেখা হয়েছিল কিনা; এতটাই নিভৃতচারী তিনি। শিরীন আখতারের কথা বলতে গিয়েই তাঁর পরিবারের প্রসঙ্গটিও এসে গেল—আশা করি তারা এতে কিছু মনে করবেন না।

একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। ১৯৯৮ বা ১৯৯৯ সাল, আমি তখন শিরীন আখতার প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারীতে একজন কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করি। একটি প্রকল্প ছাড় করানোর জন্য মৎসভবনে এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালকের সাথে দেখা করতে যাই একজন সহকর্মীকে নিয়ে। মহাপরিচালক সাহেব কর্মজীবী নারী সম্পর্কে এটাসেটা জিজ্ঞেস করার পর জিজ্ঞেস করলেন আপনাদের সভাপতি কোন শিরীন আখতার? আমিও এটাসেটা বলে জবাব দেবার চেষ্টা করি, শিরীন আপার রাজনৈতিক পরিচয় এড়িয়ে গিয়ে; কিন্তু তিনিও নাছোড়বান্দা। আমার মুখ থেকে বের করে আনলেন যে এই শিরীন আখতার জাসদের শিরীন আখতার। তিনি তখন চিনলেন। আমি ভাবলাম মহাপরিচালক সাহেব মনে হয় ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করতেন; তাই সাহস করে বললাম জাসদের শিরীন আখতারকে আপনি কীভাবে চেনেন? তিনি বললেন যে তিনি সে সময় রংপুর জেলখানার কর্মরত ছিলেন। তিনি বললেন, “আপনারা এ কালের তরুণরা কতোটা বুঝবেন জানি না; কিন্তু আগুনের মতো সুন্দরী একজন তরুণী গোপন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে ধরা পরে কারান্তরীণ আর সে কারাগারের একজন কর্মকর্তা আমি— সে ঘটনা ভুলি কী করে?”

জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা শিরীন আখতারের জন্য। প্রথমে রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদার শেষ কথা দিয়ে শেষ করার কথা মনে এলেও পরে তা অপূর্ণাঙ্গ মনে হলো; তাঁর জন্য নিবেদন করছি অনেক প্রিয় গানের একটি— নিনা সিমোনের মিসিসিপি গডড্যাম— যা শিরীন আখতারের আদর্শিক-রাজনৈতিক অবস্থান ও সংগ্রামকে প্রতিফলিত করে।

মিসিসিপি গডড্যামের এক পর্যায়ে নিনা সিমোন গাইছেন— অল আই ওয়ান্ট ইজ ইকুয়ালিটি; ফর মাই সিস্টার, মাই ব্রাদার, মাই পিপল অ্যান্ড মি।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লড়াই-এর সম্পাদক।

পূর্বপশ্চিম- এনই

জিয়াউল হক মুক্তা,শিরিন আখতার,জাসদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close