ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক আটক
যশোরের মণিরামপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইয়াকুব হোসেন নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।
সম্পর্কিত খবর
অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াকুব আলী উপজেলার জয়পুর গ্রামের উজির আলীর ছেলে। তিনি দেলুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে দেড় ডজন মামলা রয়েছে। এ কারণে ২০১৬ সাল থেকে তিনি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন দুপুরে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়ার একপর্যায়ে ইয়াকুব আলী অন্য শিক্ষার্থীদের সামনে এক ছাত্রীর যৌন হয়রানি করেন। সেই ক্লাস থেকে বেরিয়ে তিনি তৃতীয় শ্রেণিতে ঢুকে এক ছাত্রীর সাথে একই আচরণ করেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ না করতে বলেন তিনি।
এদিকে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রী পরের দিন মঙ্গলবার স্কুলে যেতে রাজি হয়নি। তখন বাবা-মা জিজ্ঞেস করলে সে শিক্ষকের খারাপ আচরণের কথা জানায়। পরে এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে ধরে মারধর করে। একপর্যায়ে পুলিশের খবর দিয়ে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই দিন আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম না। ফিরে এসে এক শিক্ষিকার কাছে ঘটনা শুনেছি। বহিষ্কার হওয়ায় ইয়াকুব আলী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করান না। তিনি নিয়মিত কর্মস্থলে আসেন না। অন্য শিক্ষকের অনুপস্থিতি হয়তো ওই দিন ক্লাস নিয়েছেন।
ঢাকুরিয়া ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান নুরুন্নবী বলেন, বহিষ্কৃত হওয়ায় শিক্ষক ইয়াকুব আলীর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রশিক্ষণে বাইরে আছি। ফিরে এসে এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
মণিরামপুর থানার ওসি নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এনজে