• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পাচারের সময় ১ মণ স্বর্ণ উদ্ধার

প্রকাশ:  ২৩ জুলাই ২০২২, ২০:৩৮
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল সীমান্তে পাচারকালে বাংলাদেশি ১ মণ স্বর্ণ উদ্ধার করে বিএসএফ

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময় ১ মণ স্বর্ণ উদ্ধার করেছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে রয়েছে ৩২১টি স্বর্ণের বিস্কুট, ৪টি স্বর্ণের বার এবং একটি স্বর্ণমুদ্রা।

বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ১৫৮ বিএসএফের টহল দলের সদস্যরা ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার বনগাঁ থানার ঘোনার মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ স্বর্ণ আটক করা হয়। যার বাজার মূল্য ভারতীয় টাকায় ২১ কোটি ২২ লাখ। পাচারকারীরা বিএসএফের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা রেখে ইছামতী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।

বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিএসএফের ঘোনারমাঠ আউটপোস্টের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের কাছে ওই এলাকা দিয়ে সোনা পাচারের খবর পায় তারা।

ঘোনারমাঠ গ্রামের কাছে ইছামতী নদীর ধারে আন্তর্জাতিক সীমান্তে তল্লাশি শুরু করলে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে ৮ সদস্যের সন্দেহভাজন একটি দলকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ইছামতী নদীতে একটি কাঠের নৌকায় ভারতীয় ভূখন্ড প্রবেশ করতে দেখে জওয়ানেরা। তাদের ধরার চেষ্টা করা হলে তারা সমস্ত জিনিসপত্র ফেলে রেখে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ব্যাগ খুঁজে পায় বিএসএফ। তার মধ্যে ছিল ৩২১টি স্বর্ণের বিস্কুট, ৪টি ম্বর্ণের বার ও একটি স্বর্ণমুদ্রা। আটক করা হয় কাঠের নৌকাটি। এ ছাড়া উদ্ধার হয়েছে ৪টি মোবাইল ফোন ও প্যাকিং সামগ্রী।

বিএসএফ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণ পাচার আটকের ক্ষেত্রে এটিই সব থেকে বড় সাফল্য। পাচারকারীদের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে বিএসএফ।

বাংলাদেশ থেকে এ দেশে স্বর্ণ পাচার নতুন নয়। বিএসএফ ও শুল্ক দফতরের কর্মকর্তারা নজরদারি চালানোর সময়ে বহুবার স্বর্ণের বিস্কুট আটক করেছেন। গ্রেফতার হয়েছে পাচারকারীরাও।

অভিযোগ রয়েছো যারা গ্রেফতার হয় তারা মূলত ‘ক্যারিয়ার’। অর্থাৎ, টাকার বিনিময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বিস্কুট পৌঁছে দেয় মাত্র। কিন্তু অধরাই থেকে যায় পাচারের মূল মালিকরা। সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও পাচার চলছেই। কারণ, মূলত ‘সোর্স ইনর্ফমেশন’ বা পাকা খবর ছাড়া স্বর্ণের বিস্কুট ধরা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে পুলিশের একটি সূত্র। তাদের দাবি, স্বর্ণের বিস্কুট আকারে ছোট। সহজেই লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তা ছাড়া সীমান্তে সর্বত্র কাঁটাতার না থাকায় ধরা যাচ্ছে না পাচারকারীদের।

এ ব্যাপারে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ তানভীর রহমান (পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স) জানান, আপনারা যেমন শুনেছেন আমরাও সে ভাবে শুনেছি। স্বর্ন আটকের খবরটি যেহেতু ভারতীয় বিএসএফের কাছে ছিল সে কারণে তারা আটক করেছে। তবে দাপ্তরিকভাবে বিএসএফ বিষয়টি আমাদের জানাননি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/আইয়ুব/এআই

স্বর্ণ পাচার,বেনাপোল সীমান্ত,বিএসএফ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close