• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নওগাঁয় বকেয়া ভাতার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ:  ০২ আগস্ট ২০২২, ১৯:৩১
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বকেয়া ভাতার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন অসহায় বয়স্ক, বিধবা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের সাবাইহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারা মানববন্ধন করেন।

মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের অসহায় ভাতাভোগীরা এ আয়োজন করেন। এ সময় তারা বদলি হওয়া সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের অবহেলার কারণে ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। তারা তার শাস্তির দাবি ও বকেয়া ভাতার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

বাংড়া গ্রামের ভাতাভোগী ফাতেমা বিবি বলেন, ‘আগে বইয়ের মাধ্যমে আমাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। অনেক সময় সমস্যা হলে মেম্বার, অফিস ও ব্যাংকের লোকজন মিলে ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে টাকা দেওয়া চালু হওয়ার পর সমস্যার সৃষ্টি হয়। অফিসে বারবার অভিযোগ করেও আমরা টাকা পাইনি।’

তেঁতুলিয়া গ্রামের জমিলা বিবি বলেন, ‘মোবাইলে টাকা দেওয়া শুরু হলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তাঁরা টাকা পেয়েছেন বলেও শুনেছি। কিন্তু তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী ৬ মাসের ভাতা আজও পাননি। তৎকালীন সমাজসেবা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের অবহেলার কারণে আমরা ভাতা বঞ্চিত হয়েছি। আমরা তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘মোবাইল ব্যাংকিং সেবাপ্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ এর মাধ্যমে ভাতা দেওয়া চালু হলে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ৬ মাসের ভাতা পাননি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী। ওই সময় ভাতার দাবিতে সমাজসেবা অফিস ঘেরাওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন তাঁরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বকেয়া ভাতা থেকে বঞ্চিত আছেন ভাতাভোগীরা। এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের টাকা ব্যাংক থেকে ফেরত চলে গেছে। সেই ক্ষেত্রে বকেয়া ভাতা প্রাপ্তির আর কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও বর্তমানে রাজশাহী ‘ছোটমনি’ নিবাসের উপ--তত্তাবধায়ক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইলফোনে বারবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় এই বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, গত ২০২০সালে মোবাইলের মাধ্যমে প্রথম ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু হলে সেই সময় অনেকের যে মোবাইল নম্বর দিয়ে এ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিলো সেই নম্বরটি ভুল কিংবা বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তবে পরবর্তিতে যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো তাদের ভুলগুলো ঠিক করার পর এখন তারা নিয়মিত ভাতা মোবাইলের মাধ্যমে পাচ্ছেন। ওই সময় যারা ভাতা পাননি তাদের আর সেই ছয় মাসের ভাতা পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। জেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বর্তমানে নিয়মিত বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছেন। পরবির্ততে এমন সমস্যা হলে সেই বিষয়গুলো আমরা ভালো ভাবে দেখবো।

পূর্বপশ্চিমবিডি/রিপন/এআই

ভাতা,নওগাঁ,মানববন্ধন

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close