সাদুল্যাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন ১৬ বছর ধরে নষ্ট
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ বছর আগে একটি এ্যানালগ এক্সরে মেশিন দেওয়া হলেও সেটিকে আজ পর্যন্ত চালুই করতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।
ফলে নিয়ে আসার পর থেকেই এক্সরে মেশিনটি একটি কক্ষে পড়ে রয়েছে দরজা বন্ধ হয়ে। এ অবস্থায় আরেকটি এ্যানালগ এক্সরে মেশিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে হাসপাতালটিতে।
সম্পর্কিত খবর
এ প্রক্রিয়া বাতিল করে অতিদ্রুত নতুন একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দেওয়ার দাবি করেছেন সাদুল্লাপুরের সর্বসাধারণ।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের আগস্ট মাসে একটি এনালগ এক্সরে মেশিন দেওয়া হয় এই হাসপাতালে। কয়েকবার এটি চালু করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে। ব্যাটারি ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েও চালু করা যায়নি এই এক্সরে মেশিনটিকে।
ফলে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি এক্সরে মেশিনের সুবিধা পায়নি রোগীরা। হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি সচল না থাকায় প্রায় প্রতিদিনই রোগী ও তাদের স্বজনদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। সাদুল্লাপুরের দশলিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম হাতের এক্সরে করাতে।
কিন্তু এক্সরে মেশিন চালু না থাকায় বাহিরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২৭০ টাকা দিয়ে এক্সরে করতে হয়েছে। অথচ সেটা নাকি হাসপাতালে ১৩০ টাকার মধ্যেই হতো।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং) এবিএম হাসান সরকার বলেন, এক্সরে মেশিনটি এনে শুধুমাত্র রাখা হয়েছে এই হাসপাতালে। নিয়েও যাচ্ছেনা, সচল করেও দিয়ে যাচ্ছে না। এ নিয়ে আমরা পড়েছি মহাবিপাকে। মানুষ এসে আমাদেরকে কথা শুনিয়ে যায়, দুঃব্যবহার করে।
সাদুল্লাপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহজাহান সোহেল বলেন, সরকারি এই হাসপাতালে এক্সরে মেশিনের সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও রোগীরা সেই সেবা পাচ্ছেন না হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে।
এ সুবিধা না পেয়ে প্রায় তিন লাখ অধ্যুষিত এই উপজেলার মানুষকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বেশি টাকা খরচ করে এক্সরে করতে হয়। এতে করে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিদ্রুত একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দেওয়ার দাবি করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু আহাম্মদ আল মামুন বলেন, ১৬ বছর আগে আনা এনালগ এক্সরে মেশিনটি তো আজ পর্যন্ত চালুই করা যায়নি। আবারও এই হাসপাতালে একটি এনালগ মেশিন দেওয়া হচ্ছে।
সেটি এলে মানুষ তেমন একটা উপকার পাবে বলে মনে হয়না। কেননা মানুষ ইতোমধ্যে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনে পরীক্ষা করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এজন্য আমাদের নতুন একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দরকার।
এ বিষয়ে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুস শাকুর বলেন, সাদুল্লাপুরের এই এক্সরে মেশিনটির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পিবিডি/আর-এইচ